নিজস্ব প্রতিবেদন: সাল ১৯৮৭, তারিখ ২৪ জুন। আর্জেন্তিনার রোজারিওতে জন্মানো বাচ্চাটা পায়ের সমস্যার জন্য বছরে পর বছর ভুগেছিল। মাত্র ১১ বছর বয়সে গ্রোথ হরমোন ডেফিসিয়েন্সি (হরমোনের প্রভাবে শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি থেমে যাওয়া) ধরা পড়েছিল। রাতের পর রাত পায়ের মধ্যে সূঁচ ফুটিয়ে চিকিৎসা হয়েছে। তিন বছর এভাবে চলেছিল। পিট্যুইটারি গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোনের তারতম্যের জেন্যে তাঁর শারীরিক বৃদ্ধি থেমেছিল একটা সময়। দীর্ঘ চিকিৎসার পর বাচ্চাটা সেরে ওঠে ঠিকই। কিন্তু পরে তাঁর ওই পা-ই গোটা বিশ্বকে কাঁদিয়ে দিল। বাঁ-পায়ের জাদুকরকে গোটা পৃথিবী চেনে লিওনেল মেসি (Lionel Messi) নামে। ফুটবলের সর্বকালের অন্য়তম শ্রেষ্ঠ ফুটবলার। আর্জেন্টিনাকে করেছেন বিশ্ব চ্য়াম্পিয়ন। তবে মেসির বয়স এখন ৩৬ বছর। আর কতদিনই বা তিনি খেলবেন? কোপা আমেরিকার আগে জানিয়ে দিলেন যে, তাঁর বিদায় আসন্ন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: AIFF: জঘন্য রেফারিং! শেষ ভারতের বিশ্বকাপ স্বপ্ন, এবার ফিফার দ্বারস্থ ফেডারেশন


ইএসপিএন আর্জেন্টিনাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি জানান, 'দেখুন আমি ফুটবল ছাড়তে প্রস্তুত নই। আজীবন এটাই করে এসেছি। ট্রেনিং থেকে শুরু করে খেলা। সবটাই আমি উপভোগ করি। একটাই ভয় আজও কাজ করে। একদিন সব শেষ হয়ে যাবে। আমার মনে হয় ইন্টার মায়ামিই আমার শেষ ক্লাব হবে। আজকে দাঁড়িয়ে এটাই বলতে পারি। আমি এখানে ফুটবল খেলতে ভালোবাসি। এখানকার সবকিছু আমি অনেক বেশি উপভোগ করি। কারণ আমি জানি সময় ফুরিয়ে আসছে ধীরে ধীরে। আমি ভাগ্য়বান যে, এখানে সতীর্থ এবং বন্ধুদের পাশে পেয়েছি। যাদের সঙ্গে আবার জাতীয় দলেও খেলেছি। আমি প্রতিটি ছোটখাটো বিষয় উপভোগ করি। আমি যখন আর খেলব না। এগুলো খুব মিস করব। ইউরোপ ছেড়ে এখানে এসে খেলাটা কঠিন ছিল। এটা ঘটনা যে, বিশ্বচ্য়াম্পিয়ন হওয়ার পর আমি জিনিসগুলি অন্য় ভাবে দেখা শুরু করি। আমি এখন আরও বেশি খেলাটা উপভোগ করছি কারণ বুঝতে পারছি অবসরের সময় ঘনিয়ে এসেছে। তবুও অবসরের জন্য় আমি তৈরি নই।'


গতবছর মেসি পিএসজি ছেড়ে বার্সেলোনায় ফেরেননি। সৌদির ক্লাব আল হিলালে গিয়েও এশিয়ান ফুটবলের স্বাদ নেননি। মেসি খেলছেন মেজর লিগ সকারে । এলএমটেন এখন ইন্টার মায়ামির। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড  ও ইংল্যান্ডের  প্রাক্তন কিংবদন্তি ডেভিড বেকহ্যামের  ডাকে সাড়া দিয়েই মেসি আমেরিকায়। তিনি ভালো আছেন এখানে। পিএসজি-তে আসার আগেই মেসি তাঁর আগামীর রূপরেখা ছকে ফেলেছিলেন। আমেরিকার জীবন তাঁকে ভীষণ টানে। যার জন্য মেসি ফ্লোরিডার সানি আইলজ বিচ শহরে একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টের পুরো ১০ তলাটাই কিনে নিয়েছিলেন ৫ মিলিয়ন পাউন্ডে। স্প্যানিশ টিভি স্টেশন লা সেক্সটাতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসি পিএসজি-তে আসার আগে বলেছিলেন, 'আমি মার্কিন মুলুকে খেলতে চাই, ওখানকার জীবন ও লিগ, দুয়ের অভিজ্ঞতাই নিতে চাই। কিন্তু যেভাবে হোক না কেন আমি বার্সায় ফিরে আসব। এর বেশি কিছু ভাবছি না।' মেসির ইন্টার মায়ামিতে আসা ও মেজর লিক সকার খেলার চিন্তা ভাবনা অনেক আগেই করা


আরও পড়ুন: সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত খুদে! হুইলচেয়ার ঠেলে মাঠে আনলেন রোনাল্ডো...


 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)