নিজস্ব প্রতিনিধি : বল পায়ে ম্যাজিশিয়ান। এই নামে তাঁকে অনেকে ডাকেন। এমনি এমনি তো ডাকেন না! বল তাঁর পায়ে থাকলে যেন নিজে থেকে কথা বলে। তাঁর পা ছেড়ে যেতেই চায় না। লিওনেল মেসি বলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েন। সে সম্পর্কও কিন্তু এমনি এমনি হয় না। তার জন্য বলের সঙ্গে যথেষ্ট সময় কাটাতে হয়। বলকে কথা বলাতে হয়। অনেকে বলেন, লিওনেল মেসি ঈশ্বরপ্রদত্ত প্রতিভা। অনেকে আবার পাল্টা দেন, প্রচুর প্র্যাকটিস তাঁকে লিওনেল মেসি তৈরি করেছে। হাজারো যুক্তি-তক্কোর মাঝে মেসির স্কিল, টেকনিকের প্রসঙ্গ আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। এই যেমন আরও একবার মেসির সেই প্রতিভার ঝলক উঠে এল। মেসি-ভক্তরা আরও একবার নিজেদের ভক্ত বলার যুক্তি খুঁজে পেলেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  এখন আর কথা বলেন না মারাদোনা! অ্যা...অ্যা...করে শব্দ খোঁজেন


মেসি বনাম রোনাল্ডোর চিরন্তন লড়াইয়ে এই একটা ভিডিও আরও একটা স্তর যোগ করতে পারে। এই স্তরে মেসি আরও একবার দেখিয়ে দিয়ে গেলেন, ফুটবল খেলাটা তাঁর কাছে নিতান্ত একটা সহজ খেলা। আর বিপক্ষ ফুটবলাররা তাঁর কাছে আরও সহজ প্রতিপক্ষ। তাঁর পায়ে বল থাকলে সেটা কেড়ে নেওয়া মানে একখানা অতিব কঠিন কাজ। লা লিগায় বার্সেলোনা বনাম অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের ম্যাচ চলছিল। এই ম্যাচেই মেসি বোঝালেন, বিশ্বের সেরা ফুটবলারের লড়াইয়ে তাঁকে কেন গণ্য করা হয়! অ্যাটলেটিকোর ফিলিপ লুইজকে বোকা বানিয়ে মেসি যেভাবে বল নিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন, তাতে তাঁর স্কিল নিয়ে এখন জোর আলোচনা। 



সাইড লাইনের ধারে উঁচু বল পেয়েছিলেন মেসি। সেটাকেই প্রথম হেড দিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। তার পর বাঁ-পায়ের যাদুতে সেই বল ফিলিপ লুইজের দুই পায়ের মাঝখান দিয়ে গলিয়ে আয়ত্তে নিয়ে ফেলেন। এর পর অ্যাটলেটিকোর তিনজন ফুটবলার বলসমেত মেসিকে তাড়া করেও তাঁকে ধরতে পারেননি। মেসি শেষমেশ সতীর্থকে পাস দিয়ে বল নিজেদের দখলেই রাখেন। বার্সেলোনা এদিন অ্যাটলেটিকোর বিরুদ্ধে ১-১ ড্র করে। কিন্তু একাধিকবার মেসি অ্যাটলেটিকোর ডিফেন্স নিয়ে ছিনিমিনি খেলেন। তবে ফিলিপ লুইজকে বোকা বানিয়ে মেসির বল দখলে রাখার লড়াইয়ের একটি ভিডিও নিয়ে এদিন ম্যাচের থেকেও বেশি চর্চা হয়। একাধিক সমর্থক মেসির সেই স্কিলের ভিডিও সোশ্যাল সাইটে তুলে দেন। আর তার পরই সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয় মেসি-রোনাল্ডোর শ্রেষ্ঠত্ব দখলের লড়াই।