জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কে সেরা, লিওনেল মেসি (Lionel Messi) না ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo)? বিগত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ফুটবলবিশ্বে এই আলোচনা চলছে। প্রাক্তন থেকে বর্তমান ফুটবল মহারথীদের কেউ কেউ এলএমটেনকে (LM10) এগিয়ে রেখেছেন, কেউ কেউ বেছে নিয়েছেন সিআরসেভেনকে (CR7)। তবে সারা বিশ্বের অনুরাগীদের মধ্যে আর্জেন্টাইন সুপারস্টার ও পর্তুগিজ জাদুকরকে নিয়ে ধুন্ধুমার বাঁধলেও, মেসি-রোনাল্ডোর একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা অন্য় জায়গায়। বাবরাব তা দু'জনের কথায় ফুটে উঠেছে। গত ৩০ অক্টোবর মেসি অষ্টমবারের জন্য ব্যালন ডি'ওর জিতেছেন। এই পুরস্কার জিতেই মেসির মুখে ফের রোনাল্ডোরই কথা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Messi: অনির্বাণের চোখে মেসি জীবনানন্দের 'ঘোড়া'!


ফরাসি দৈনিক এল'ইকুইপ ব্যালন ডি'ওর অনুষ্ঠানে মেসির থেকে জানতে চেয়েছিল, তাঁর সঙ্গে রোনাল্ডোর চর্চিত লড়াইয়ের প্রসঙ্গে। যার উত্তরে লিয়ো বলেন, 'আমাদের মধ্যে ওই তথাকথিত লড়াই ছিল। হ্যাঁ, তবে যদি খেলার আঙ্গিকে দেখেন, তাহলে বলব অবশ্যই দারুণ ছিল। দেখতে গেলে আমরা এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা ব্য়াপারটাই মুছে দিয়েছিলাম। কারণ দু'জনেই অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলাম। দেখুন, রোনাল্ডো সবসময় সবাইকে হারিয়ে সবকিছু জিততে চাইত। আমাদের জন্য় দারুণ একটা সময় কেটেছে। সাধারণত যাঁরা ফুটবল ভালোবাসেন, তাঁদের জন্যও একটা সুন্দর অধ্যায় ছিল। আমার মনে হয় যে, এত লম্বা সময় ধরে আমরা যেটা করেছি, সেটা নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য়। দেখুন একদম উপরে চলে যাওয়াটা সহজ। কিন্তু কঠিন হচ্ছে সেখানে থেকে যাওয়া। বাস্তবে আমরা কিন্তু ১০ থেকে ১৫ বছর সেটা করে দেখিয়েছি। টিকে থাকা অত্যন্ত কঠিন। দারুণ স্মৃতি আমাদের। অসাধারণ সব মুহূর্ত। আবারও বলব যারা, ফুটবল উপভোগ করে, তাঁদের জন্য়ও ভালো সময় ছিল।'


ম্য়াঞ্চেস্টার সিটি-র স্ট্রাইকার আর্লিং হাল্যান্ডকে পিছনে ফেলে আর্জেন্টিনার ভুবনজয়ী অধিনায়কই বাজিমাত করেছেন ব্যালন ডি'ওরে। ২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫, ২০১৯ ও ২০২১ সালের পর ২০২৩-এ মেসির ব্যালন-রাজ দেখল ফুটবল বিশ্ব। ১৮০ জন সাংবাদিকের ভোটের ভিত্তিতে মেসির মাথায় উঠেছে এই মুকুট। ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিনের শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা মেসি পেয়েছেন আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানোর জন্য়ই। এই পুরস্কার জেতার রেকর্ড করেই মেসি বললেন যে, তিনি এসব নিয়ে ভাবিতই নন। মেসির সংযোজন, 'সত্যি বলতে বহু আগেই আমি ব্যালন ডি'ওর নিয়ে ভাবা ছেড়ে দিয়েছিলাম। আমি আগেও বলেছি যে, এই পুরস্কারকে আমি কখনই অগ্রাধিকার দিইনি। এখন আমি জীবনের যে, জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি, সেখান থেকে বলতে পারি, কেরিয়ারে সবকিছু পাওয়া হয়ে গিয়েছে আমার। এটাই আমার শেষ ব্যালন ডি'ওর। আমি খুশি যা কিছু অর্জন করেছি। এমন একজন প্লেয়ার যে আটবার ব্যালন ডি'ওর পেয়েছে। ব্য়াস, এটুকুই বলার আছে।'


কাতার বিশ্বকাপ  শুরু হওয়ার আগে থেকেই, একটা কথাই বারবার সকলে বলছিলেন, মেসির হাতে কাপ না উঠলে সম্ভবত 'পোয়েটিক জাস্টিস' হবে না। আর ফুটবল বিধাতা সেটাই করেছিলেন। মেসির মাথায় রাজমুকুট পরিয়ে মারাদোনারআর্জেন্টিনাকে ৩৬ বছর পর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। লুসেল স্টেডিয়ামে রুদ্ধশ্বাস ফাইনালের ফয়সলা হয়েছিল পেনাল্টি শ্যুটআউটে। সেখানে আর্জেন্টিনা ৪-২ গোলে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে হারিয়ে শেষ হাসি হেসেছিল। 



আরও পড়ুন: Cristiano Ronaldo: 'আমাকে ভালোবাসলে, মেসিকে ঘৃণা করবেন না, আমি ওকে শ্রদ্ধা করি!


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)