নিজস্ব প্রতিনিধি- নিজের কাছে নিজেই পণ করেছিলেন তিনি। অটুট ছিল সেই পণ। লিভারপুল প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা না জিতলে তিনি কখনোই চুল কাটাবেন না। দীর্ঘ ১৭ বছর চুলে কাঁচি ঠেকাননি তিনি। ৩৭ বছর বয়সী লিভারপুল সমর্থক উকে ক্রিসনিকি অবশেষে চুল কাটালেন। লিভারপুলের অন্ধভক্ত ক্রিসনিকি। আত্মীয়, বন্ধুরা অনেকেই তাঁকে চুল কাটানোর কথা বললেও তিনি কথা শোনেননি। দীর্ঘ ৩০ বছর পর শিরোপা জিতেছে লিভারপুল। মরশুমের সাতটি ম্যাচ বাকি থাকতেই শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলেছে জুর্গেন ক্লপের দল। ফুটবলাররা এখন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে মশগুল। তবে সবকিছু ছাপিয়ে ক্রিসনিকির পণের কথাই এখন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে জায়গা পেয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কসোভাতে জন্মেছিলেন ক্রিসিনিকি। ভ্যানকুভারে একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন লিভারপুল অন্তপ্রাণ এই সমর্থক। তাঁকে নিয়ে গর্ব করেন তাঁর বন্ধুরা। বরাবরই তিনি লম্বা চুল রেখে এসেছেন। অনেকেই জানতেন, স্রেফ স্টাইল-এর জন্যই তিনি এমনটা করেন! কিন্তু আদতে তা নয়। ক্রিসনিকির পরিবারের সবাই জানে তিনি পণ করেই বড় চুল রাখেন। বন্ধু ও পরিবারের অনেকেই তাঁকে বলেছিল কতদিন আর স্যালোঁয় না গিয়ে থাকবেন! কিন্তু ক্রিসনিকি কারো কথা কানে তোলেনি। তিনি নিজের পণে অটল ছিলেন।


আরও পড়ুন- ফুটপাতে দিন কাটছে দিয়েগো মারাদোনার সতীর্থের


অলরেডদের হাতে শিরোপা ওঠার পরই তিনি মনের আনন্দে গিয়েছেন স্যালোঁয়। এতদিনে তাঁর অপেক্ষার অবসান হল। ক্রিসনিকি বলেছেন, ''প্রতিটা মরশুম শেষ হত হতাশা নিয়ে। তবে জানতাম কোনও একদিন স্বপ্নপূরণ হবে। বেঁচে থাকতে আমার স্বপ্ন পূরণ হল। এই আনন্দের মুহূর্ত দেখে যেতে পারলাম! এই গোটা মরশুমে আমার দল অসাধারণ খেলেছে। প্রতিটা মুহূর্ত আমি উদযাপন করেছি। মনে মনে ভাবতাম যতদিন লাগবে লাগুক। কিন্তু যতদিন না আমরা প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হচ্ছি ততদিন চুলে কাঁচি ঠেকাব না। জর্ডান হেন্ডারসন কপিটা হাতে নিয়েছে। এবার আমি পণ ভাঙব।''