Suryakumar ও Ishan দের দৃষ্টান্ত দিয়ে পাক নির্বাচকদের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন Mohammad Amir
পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্ট ও দল নির্বাচন নীতি নিয়েই তাঁর সমস্যা।
নিজস্ব প্রতিনিধি: পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্ট ও দল নির্বাচন নীতি নিয়েই ছিল তাঁর সমস্যা। এই কারণে গতবছর একপ্রকার বাধ্য হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে গুডবাই বলেছিলেন মহম্মদ আমির (Mohammad Amir)। আক্রম-ওয়াকার-আখতারদের দেশের অন্যতম সেরা ফাস্টবোলার ছিলেন আমির। তিনি ফের একবার তোপ দাগলেন পাক নির্বাচকদের বিরুদ্ধে। আমির জানিয়েছেন, পাকিস্তান এমন তরুণদের নিয়েই নিয়েই দল বানায় যাঁদের ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিজ্ঞতা অত্যন্ত কম এবং যাঁদের প্রচুর টেকনিক্যাল ত্রুটি রয়েছে!
পাকপ্যাশনডটনেট-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একেবারে বিস্ফোরক মেজাজে ধরা দিয়েছেন আমির। তিনি বলছেন, “একবার দেখুন ভারত, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড কোন কোন প্লেয়ারদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়ে আসছে! ওরা সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলার জন্য প্রস্তুত আছে। ওরা সকলেই ঘরোয়া ক্রিকেটে এবং জুনিয়র লেভেলে কঠোর পরিশ্রম করেই আজ এই জায়গায়। যখনই ওদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুযোগ দেওয়া হয়, ওরা নিজেদের স্কিল দেখিয়ে দেয়। কারণ ঘরোয়া ক্রিকেটে শিখে এসেছে সবটা। আর আমাদের পাকিস্তানে এই মুহূর্তে প্লেয়াররা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে খেলতে শিখছে জাতীয় কোচেদের থেকে। উচিত ছিল ক্রিকেট খেলাটা কেরিয়ারের শুরুর দিকে শিখে আসা।”
আরও পড়ুন: Sourav Ganguly জানালেন যে ৫ কারণে আজ ভারতীয় ক্রিকেট বিশ্বসেরা
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে আইপিএলে ধারাবাহিক ভাল পারফর্ম করেছেন সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav) ও ঈশান কিশান (Ishan Kishan)। চলতি বছরেই জাতীয় দলের হয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-২০ অভিষেকে নিজেদের ছাপ রেখেছেন দুই ক্রিকেটার। তাঁদের পারফরম্যান্স ক্রিকেট পণ্ডিতদের নজর কেড়েছে। সূর্যকুমার-ঈশানের উদাহরণ দিয়ে আমির বলছেন, “ঈশান কিশান, সূর্যকুমার যাদব ও ক্রুনাল পাণ্ডিয়াদের দিকে একবার তাকান। ওরা প্রস্তুত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার জন্য। ওদের খুব একটা কোচিং বা পরামর্শের দরকার নেই। ওরা প্রত্যেকে বহু বছর ঘরোয়া ক্রিকেট ও আইপিএল খেলেছে। যার জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এত মসৃণ ভাবে জায়গা করে নিয়েছে।” আমির সাফ বলছেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্কুল পর্যায়ের ক্রিকেট নয়, যেটা খেলতে খেলতে প্লেয়াররা শিখে যাবে। তার মতে বহু বছর ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে এবং শিখেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসা উচিত। আর যেটা পাকিস্তানের ক্রিকেট সংস্কৃতিতে একেবারেই নেই।