নিজস্ব প্রতিবেদন: যাবতীয় অভিযোগকে 'ভুল' বলে দাবি তো করলেনই। হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের অ্য়াপেক্স কাউন্সিলের বিরুদ্ধেও এবার পাল্টা মুখ খুললেন মহম্মদ আজহারউদ্দিন (Mohammad Azharuddin)। বললেন, 'সত্যের জয় হোক।'


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যখন ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন, তখনও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। ম্যাচ গড়াবেটার অভিযোগে ক্রিকেট থেকে আজীবন নির্বাসিত হতে হয়েছিল। শেষপর্যন্ত মামলায় জিতে ফের ক্রিকেটে মূলস্রোতে ফেরেন মহম্মদ আজহারউদ্দিন। প্রশাসক হিসেবে বিতর্ক পিছু ছাড়ল না! 


আরও পড়ুন: হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পদ থেকে সরানো হল Azhar-কে, করা হল শো-কজ


২০১৯ সালে হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (Hyderabad Cricket Association-HCA)-র সভাপতি হন আজহারউদ্দিন। অভিযোগ, এই পদে থেকে নানারকম অন্য়ায় সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন তিনি। এমনকী, দুবাইয়ের যে ক্রিকেট ক্লাবের সদস্য ভারতের এই প্রাক্তন অধিনায়ক, সেই ক্লাবটি এমন একটি লিগে খেলে যা নাকি BCCI-স্বীকৃত নয়! সংস্থার সভাপতি পদ থেকে আজহারউদ্দিনকে সাসপেন্ড করল হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাপেক্স কাউন্সিল। করা হল শোকজও।


আরও পড়ুন: Hardik-Agastya: বাবার মতোই ছেলেও! স্টাইলে বাকিদের টেক্কা হার্দিক-অগস্ত্যার


সদ্য অপসারিত সভাপতি-নিয়ে এই অ্য়াপেক্স কাউন্সিলের সদস্য সংখ্যা ৯। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে আজহারউদ্দিন বলেন, '৯ জনের মধ্যে ৫ জন নিজেদের অ্যাপেক্স কাউন্সিল ঘোষণা করেছে এবং আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। তাঁরা নিয়ম বিরুদ্ধে কাজ করেছেন'। পাল্টা অভিযোগ করেন, এই পাঁচজনের মধ্য়ে দু'জন একাধিক ক্লাবের মালিক। ওই দু'জনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।


আজহারের আরও বক্তব্য, বোর্ডে বিশেষ সভায় যাওয়ার জন্য হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন থেকে প্রথমে তাঁকে মনোনীত করা হয়েছিল। কিন্তু অ্য়াপেক্স কাউন্সিলের ৫ সদস্য নিয়ম না মেনে সংস্থার প্রাক্তন সচিব শিবলাল যাদবকে মনোনীত করেন। কী নিয়ম? প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের দাবি, ৯ বছরের বেশি কেউ ক্রিকেট প্রশাসনে থাকলে, তাঁকে আর বোর্ডের বৈঠকে পাঠানো যায় না।  এক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি। শেষপর্যন্ত অবশ্য বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও জয় শাহের বোর্ডের বৈঠকে যোগ দিতে পেরেছিলেন বলে জানিয়েছেন আজ্জু।