Team India: বিশ্বকাপের আগে এল বিরাট খবর, এই ভারতীয় ক্রিকেটার এখন ১ নম্বর
Mohammed Siraj Becomes World No 1 ODI Bowler: চমকে দিলেন মহম্মদ সিরাজ। এশিয়া কাপ জিতিয়ে তিনি হয়ে গিয়েছেন বিশ্বের এক নম্বর বোলার।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: টিম ইন্ডিয়ার পেসার মহম্মদ সিরাজ (Mohammed Siraj) একাই ভারতকে জিতিয়েছেন এশিয়া কাপ। গত রবিবার কাপযুদ্ধের ফাইনালে সিরাজের আগুনে স্পেলে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। ২১ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হওয়া ফাইনালের নায়ক বিরাট পুরস্কার পেলেন। আইসিসি (ICC ODI Bowlers Rankings) জানিয়ে দিল যে, সিরাজই এখন বিশ্বের এক নম্বর বোলার। তিনি অজি পেসার জোশ হ্য়াজেলউডের (Josh Hazlewood) সিংহাসন কেড়ে নিলেন। সিরাজের ঝুলিতে ৬৯৪ পয়েন্ট। হ্য়াজেলউডের রয়েছে ৬৭৮ পয়েন্ট। তিনে কিউয়ি পেসার ট্রেন্ট বোল্ট (Trent Boult), চারে আফগানিস্তানের মুজিব উর রহমান (Mujeeb Ur Rahman) ও পাঁচে মুজিবের সতীর্থ রশিদ খান (Rashid Khan)। প্রথম দশে রয়েছেন আরেক ভারতীয়। আইসিসি-র ক্রমতালিকায় নয়ে দেশের একমাত্র চায়নাম্য়ান বোলার কুলদীপ যাদব (Kuldeep Yadav)।
আরও পড়ুন: WATCH: মহাযুদ্ধের তেরঙা জার্সি বেছে নিল ভারত! জাতীয়তাবোধের ভিডিয়ো রক্তগরম করে দেবে
এশিয়া কাপ ফাইনালে বল হাতে আগুনে পারফরম্য়ান্সে হৃদয় জিতেছেন সিরাজ। মেডেন-সহ সাত ওভার বল করে তুলে নিয়েছেন একাই ছয় উইকেট। খরচ করেছেন মাত্র ২১ রান। এক ওভারেই তুলে নেন চার উইকেট। এদিন সিরাজের নিঁখুত লাইন-লেন্থ ও সুইংয়ের মিশেলে হামাগুড়ি দিয়েছে শ্রীলঙ্কার টপ থেকে মিডল অর্ডার। পাথুম নিশঙ্কা (২), সাদিরা সামারাউইকরামা (০), চরিথ আশালঙ্কা (০), ধনঞ্জয় ডি সিলভা (৪) ও দাসুন শনাকারা (০) সিরাজের শিকার হয়েছেন। ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম বোলার হিসেবে সিরাজ নিয়েছিলেন পাঁচ উইকেট। তাঁর লাগল মাত্র ১৬টি বল। এর আগে এই রেকর্ড ছিল শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি চামিণ্ডা ভাসের। সিরাজ প্রথম ভারতীয় বোলার হিসেবে এশিয়া কাপের ফাইনালে নিলেন ৫ উইকেট। অনিল কুম্বলের পর দ্বিতীয় ভারতীয় বোলার হিসেবে কোনও মেজর টুর্নামেন্টের ফাইনালে নিলেন ছয় উইকেট। কুম্বলে ১৯৯৩ সালে সিএবি জুবিলি টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে নিয়েছিলেন ছয় উইকেট।
(Zee 24 Ghanta ডিজিটাল এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ফলো করুন ক্লিক করে)
বল হাতে আগুনে পারফরম্য়ান্সেই হৃদয় জেতেননি সিরাজ, ম্যাচের পরও তিনি পরিচয় দিলেন তাঁর মহানুভবতার। ম্য়াচের সেরার পুরস্কার হাতে নিয়ে তিনি জানিয়ে দিলেন যে, পুরস্কার মূল্য তিনি নেবেন না। সেই টাকা যেন মাঠকর্মীদের দেওয়া হয়। দফায় দফায় লাগাতার বৃষ্টিতেও এশিয়া কাপ শেষপর্যন্ত হয়েছে। তার জন্য পুরো কৃতিত্বই ক্যান্ডি এবং কলম্বোর মাঠকর্মীদের। বারবার পিচকভার দেওয়া এবং সরানোই নয়, বৃষ্টি ধোয়া মাঠ ঠিক রাখার জন্য়, তাঁরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। সাধ্যের মধ্যেই তাঁরা করেছেন অসাধ্য সাধন। কোনও প্রশংসাই তাঁদের কাজের সার্টিফিকেট হতে পারে না।