WATCH: `ওঁরা না থাকলে টুর্নামেন্ট হত না!` মহানুভবতায় হৃদয় জিতলেন ফাইনালের নায়ক
Mohammed Siraj donates his Player of the Match prize money to ground staff: মহম্মদ সিরাজ শুধু আগুনে পারফরম্যান্সই করলেন না, হৃদয় জিতে নিলেন বাইশ গজের। দেখালেন বিরাট মহানুভবতার পরিচয়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বল হাতে আগুনে পারফরম্য়ান্সেই হৃদয় জিতলেন না মহম্মদ সিরাজ (Mohammed Siraj), ম্যাচের পরও তিনি পরিচয় দিলেন তাঁর মহানুভবতার। ম্য়াচের সেরার পুরস্কার হাতে নিয়ে তিনি জানিয়ে দিলেন যে, পুরস্কার মূল্য তিনি নেবেন না। সেই টাকা যেন মাঠকর্মীদের দেওয়া হয়। দফায় দফায় লাগাতার বৃষ্টিতেও এশিয়া কাপ শেষপর্যন্ত হয়েছে। তার জন্য পুরো কৃতিত্বই ক্যান্ডি এবং কলম্বোর মাঠকর্মীদের। বারবার পিচকভার দেওয়া এবং সরানোই নয়, বৃষ্টি ধোয়া মাঠ ঠিক রাখার জন্য়, তাঁরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। সাধ্যের মধ্যেই তাঁরা করেছেন অসাধ্য সাধন। কোনও প্রশংসাই তাঁদের কাজের সার্টিফিকেট হতে পারে না।
আরও পড়ুন: Mohammed Siraj: 'মনে হচ্ছে স্বপ্ন'! বিনাশের 'ব্রহ্মাস্ত্র' নিয়ে গর্বিত সিরাজ, বললেন অনেক কিছু
এদিন সিরাজ ম্যাচের সেরা হওয়ার জন্য় পেয়েছেন ৪ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা। মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে পুরস্কার মঞ্চে দাঁড়িয়ে সিরাজ বলেন, 'মাঠকর্মীদের অনেক কৃতিত্ব রয়েছে। ওঁরা না থাকলে এই টুর্নামেন্ট হত না! আমার পুরস্কার মূল্য তাঁদের দিলাম। জানি খুবই সামান্য়, তবুও।' সিরাজের এই বক্তব্যের পরেই করতালির ঝড় উঠে যায়। এদিন ম্য়াচের আগেই জয় শাহ ট্যুইট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল ও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ৪১ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা ক্যান্ডি ও কলম্বোর মাঠকর্মীদের দেওয়া হবে।১৯৮৪, ১৯৮৮, ১৯৯০, ১৯৯৫, ২০১০, ২০১৬, ২০১৮ র পর ২০২৩। অষ্টমবার এশিয়া কাপের শিরোপা উঠল ভারতের মাথায়। সৌজন্যে একটাই নাম- সিরাজ ২৯ বছরের ডান হাতি পেসারের আগুনে স্পেলে পুড়ে ছারখার হয়ে গিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র। এদিন কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ইতিহাস লিখে নায়ক হয়ে গেলেন হায়দরাবাদের বাসিন্দা। শ্রীলঙ্কা এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। সিরাজের ছয় উইকেটের দাপটে দাসুন অ্যান্ড কোং গুটিয়ে যায় মাত্র ৫০ রানে।
এদিন সিরাজের নিঁখুত লাইন-লেন্থ ও সুইংয়ের মিশেলে হামাগুড়ি দিয়েছে শ্রীলঙ্কার টপ থেকে মিডল অর্ডার। পাথুম নিশঙ্কা (২), সাদিরা সামারাউইকরামা (০), চরিথ আশালঙ্কা (০), ধনঞ্জয় ডি সিলভা (৪) ও দাসুন শনাকারা (০) সিরাজের শিকার হয়েছেন। সিরাজই প্রথম ভারতীয় যিনি চার উইকেট নিলেন এক ওভারে। এর পাশাপাশি সিরাজ দ্রুততম বোলার হিসেবে পঞ্চাশ ওভারের ফরম্যাটে ৫ উইকেট নিলেন। তাঁর লাগল মাত্র ১৬টি বল। এর আগে এই রেকর্ড ছিল শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি চামিণ্ডা ভাসের। সিরাজ প্রথম ভারতীয় বোলার হিসেবে এশিয়া কাপের ফাইনালে নিলেন ৫ উইকেট। অনিল কুম্বলের পর দ্বিতীয় ভারতীয় বোলার হিসেবে কোনও মেজর টুর্নামেন্টের ফাইনালে নিলেন ছয় উইকেট। কুম্বলে ১৯৯৩ সালে সিএবি জুবিলি টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে নিয়েছিলেন ছয় উইকেট।
আরও পড়ুন: Team India: সিরাজের তরোয়ালে কচুকাটা শ্রীলঙ্কা, হেলায় এশিয়া জয় ভারতের