নিজস্ব প্রতিবেদন: আচ্ছা বলুন তো, কোন ক্রিকেটারের আত্মজীনবী সবথেকে বেশি বিকোবে? কী, নিশ্চয়ই ভাবছেন এমন আপেক্ষিক প্রশ্নের কি সত্যিই কোনও উত্তর থাকে! হ্যাঁ থাকে। যার জীবনে গল্প বেশি, তাঁর জীবনীই বেশি বিকোবে, এটাই তো স্বাভাবিক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

‘প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে’, ২০১৪ সালে প্রকাশিত সচিনের আত্মজীনবী সেবছর ভারতের বেস্ট সেলার বইগুলোর মধ্যে নিজের জায়গা করে নিয়েছিল। কারণ, মানুষটির নাম সচিন তেন্ডুলকর। ক্রিকেট জীবনের চড়াই উতরাই তো বটেই এই বইতে স্মৃতি হয়ে রয়েছে তাঁর ব্যক্তি জীবনও। সৌরভের ‘অ্যা সেঞ্চুরি ইজ নট এনাফ’-র কথাই ধরে নিন। পাতায় পাতায় যেন বিস্ফোরণ। এবার ভাবুন ধোনির আত্মজীবনী বাজারে আসছে। কী না কী থাকবে তাতে।


আরও পড়ুন- হরমনপ্রীতদের ৮ উইকেটে হারিয়ে মেয়েদের টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ড


একটা ছোট্ট ট্রেলর ধোনি নিজেই দিয়ে রাখলেন। ২০১১ সালের  ২ এপ্রিল। বিশ্বাকাপ ফাইনাল। কানায় কানায় ভর্তি মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে। প্রথমে ব্যাট করে ভারতের সামনে ২৭৫ রানের লক্ষ্য খাড়া করেছিল সাঙ্গাকারা, জয়াবর্ধনেরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে অল্প রানেই সচিন-সেওয়াগের উইকেট তুলে নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। এরপর গৌতম গম্ভীর ও বিরাট কোহলির যুগলবন্দি। আর তারপর, কোহলি প্যাভিলিয়নে ফিরতেই সবাইকে অবাক করে দিয়ে ক্রিজে এসেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। মনে আছে, ধারাভাষ্যকাররা বলাবলি করছেন ইনফর্ম যুবরাজকে বসিয়ে কেন ব্যাটিং অর্ডারে এগিয়ে এলেন মাহি? অবশ্য খেলা শেষের পর এই প্রশ্নটা আর কেউই করেননি। কারণ, ওই দিন ৭৯ বলে অপরাজিত ৯১ রানের ইনিংস খেলে ভারতকে বিশ্বকাপ তুলে দিয়েছিলেন তিনি। ২৮ বছর পর দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। প্রথমবার বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে তুলেছিলেন গ্র্যান্ড মাস্টার।


আরও পড়ুন- রনজি না খেলে কেন কমেন্ট্রি করছেন, খোলসা করলেন রবিন উথাপ্পা


সাত বছর পর মাহি জানালেন, কেন তিনি ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করে উপরে উঠে এসেছিলেন। চেন্নাই সুপার কিংসে খেলার সুবাদে শ্রীলঙ্কার বোলারদের তিনি খুব ভাল করে পড়তে পেরেছিলেন, সে কারণেই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ছয়ের পরিবর্তে পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে এসেছিলেন মাহি।



(আইপিএল-এ চেন্নাই ম্যাচে এক ফ্রেমে মুরলিধরন, ম্যাথু হেডেন ও ধোনি)


মহেন্দ্র সিং ধোনি বলেন, “সেসময় (২০১১) শ্রীলঙ্কার বেশির ভাগ বোলারই চেন্নাইয়ের হয়ে খেলত। ব্যাটিং অর্ডারে আমি নিজেকে উন্নীত করেছিলাম কারণ, তখন মুরলিধরন বল করছিল। চেন্নাইয়ে খেলার সুবাদে আমি নেটে মুরলিধরনকে বহুবার খেলেছি এবং আত্মবিশ্বাসী ছিলাম আমি ভাল খেলব। এটাই কারণ, আমি ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করে উপরে উঠে এসেছিলাম”।