বিজনেস ক্লাস-এর সিট ছেড়ে দিলেন স্টাফ-এর জন্য! ধোনির মনটা ঠিক কত বড়!
ক্রিকেটার হিসাবে তো বটেই, মানুষ হিসাবেও তিনি সবাইকে বারবার চমকে দেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন- মনটা ঠিক কত বড় মহেন্দ্র সিং ধোনির! নিশ্চিতভাবে বলা যায়, বড় একখানা হৃদয় রয়েছে ধোনির মধ্যে। না হলে তিনি কী করে বারবার বড় মনের মানুষ হিসাবে প্রতিষ্ঠা পান! মাঠে তিনি আদ্যন্ত স্পোর্টম্যান। স্পোর্টসম্যান স্পিরিট তাই বজার রাখাটা তাঁর ধর্ম। কিন্তু মাঠের বাইরে1 এখানেও তিনি স্পিরিট বজায রাখেন। যেমন তিনি বড় ক্রিকেটার, তেমনই ভাল মনের মানুষ। আর তাই ক্রিকেটার হিসাবে তো বটেই, মানুষ হিসাবেও তিনি সবাইকে বারবার চমকে দেন। ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক হয়েও দলের একজন স্টাফ-এর জন্য না হলে বিজনেস ক্লাস-এর সিট ছেড়ে দিতে পারেন!
তিনি ক্যাপ্টেন। তাই দলের প্রতিটি ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ-এর জন্য তাঁর চিন্তা রয়েছে। তাঁদের ভাল-মন্দ, সুবিধা-অসুবিধা দেখার দায়িত্ব তাঁর কাঁধে রয়েছে। জাতীয় দলের দায়িত্ব তিনি ছেড়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আর খেলবেন না বলেও ঘোষণা করে দিয়েছেন। কিন্তু আইপিএলে এখনও তিনি চেন্নাইয়ের ক্যাপ্টেন। আর তাই চেন্নাইয়ের সবার সুবিধা-অসুবিধার দিকে তাঁর নজর রয়েছে। এম এস ধোনিসহ গোটা দলে দুবাই পৌঁছেছে। সেখানে তাঁরা প্র্যাকটিসও শুরু করেছে। কিন্তু দুবাই পৌঁছনোর আগে আকাশপথেই বহু মানুষের মন জিতে নিয়েছেন ধোনি। তিনি তো এমনই করেন বরাবর। হৃদয় জিততে পারেন সহজেই। তা সে তাঁর খেলা দিয়ে হোক বা ব্যবহারে!
আরও পড়ুন- তোমার এখনও অবসর নেওয়ার বয়স হয়নি, সুরেশ রায়নাকে খোলা চিঠি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর
জর্জ জন নামে চেন্নাইয়ের এক সাপোর্ট স্টাফকে নিজের বিজনেস ক্লাস-এর সিট ছেড়ে দিলেন ধোনি। আসলে সবার টিকিট হয়েছিল বিজনেস ক্লাসে। কিন্তু জর্জের বিজনেস ক্লাসে টিকিট বরাদ্দ হয়নি। তাই তাঁকে বসতে হত ইকোনমি ক্লাসে। কিন্তু ইকোনমি ক্লাসে বসতে জর্জের বেশ সমস্যা হচ্ছিল। কারণ তিনি লম্বা। ধোনি তখন তাঁর কাছে এগিয়ে এসে বলেন, ''আপনার পা বেশ লম্বা। এখানে বসতে অসুবিধা হবে। আপনি আমার বিজনেস ক্লাসের সিটে গিয়ে বসুন। আমি এখানে বসে পড়ছি।'' জর্জ এর পর একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে গোটা ঘটনার বিবরণ দিয়ে লিখেছেন, ক্যাপ্টেন আমাকে সব সময়ই অবাক করেছে।