নিজস্ব প্রতিবেদন : ঘর শত্রু বিভীষণ। তিনি জানতেন, পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের দুর্বল দিক কোনটা! তিনি পাক দলের ফাঁক-ফোকরের খোঁজও রাখতেন। তিনিই আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের সহকারী কোচ। ব্যস, পাকিস্তানের রক্ষে নেই! বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ১০৫ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের ইনিংস। তার পর থেকে অনেকেই পাক ব্যাটিংয়ের এমন বিপর্যয় নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করেছেন। পাকিস্তানের প্রাক্তন তারকারা ক্যাপ্টেন সরফরাজ আহমেদের প্রবল সমালোচনা শুরু করেছেন। কিন্তু পাকিস্তানকে ধূলিসাত্ করেছেন আসলে এক পাকিস্তানিই। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  প্রথম ম্যাচের আগে সচিনের থেকে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ পেলেন আফগান স্পিনার রশিদ



স্পিন কিংবদন্তি মুশতাক আহমেদের পরিকল্পনায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ম্যাচে এমন সাফল্য পেয়েছে। শর্ট বল আর বাউন্সার, এই দুই অস্ত্রে পাক ব্যাটসম্যানদের নাকানি-চোবানি খাইয়েছে ক্যারিবিয়ান পেসাররা। একের পর এক শর্ট বলে উইকেট দিয়ে গিয়েছেন বাবর আজম, ফকর জামানরা। রাসেল, কটরেল, থমাসদের বিরুদ্ধে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছিল পাক ব্যাটিং লাইন। আর ক্যারিবিয়ান বোলারদের এমন অস্ত্রের খোঁজ দিয়েছিলেন আসলে মুস্তাক আহমেদ। তিনিই বলে দিয়েছিলেন, পাক ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতা রয়েছে শর্ট বলে।


আরও পড়ুন-  ICC World Cup 2019: বিশ্বকাপের আগে ডে-আউটে টিম ইন্ডিয়া! ট্রোল হলেন বিরাট-ধোনিরা


ট্রেন্ট ব্রিজের বাউন্সি উইকেটে খেলতে নেমেছিল পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মুস্তাক আহমেদ রাসেলদের বলেছিলেন, ক্রমাগত শর্ট বলে আক্রমণ চালিয়ে যেতে। সেটাই করেছেন ক্যারিবিয়ান পেসাররা। সাফল্য এসেছে তাতে। যদিও সরফরাজ আহমেদ ম্যাচ খেলে উঠে বলেছিলেন, আমরা জানতাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা ঠিক কেমন বোলিং করবে! কিন্তু আমরা পরিকল্পনামাফিক খেলতে পারলাম না। তাই এই বিপর্যয়। মুস্তাক আহমেদ অবশ্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নিজের পরিকল্পনার কথা সংবাদমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেছেন।