IOA: নিজের অফিসে ডেকে খেলোয়াড়কে শ্লীলতাহানি! ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত প্রভাবশালী অলিম্পিক কর্তা
সীমা অভিযোগে লিখেছেন, `উনি আমাকে হুমকি দেন যে পরিণতি ভাল হবে না। কারণ উনি অত্যন্ত শক্তিশালী এবং আমার কেরিয়ার শেষ করে দিতে পারেন। আমি আমার উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকদের এই ঘটনার বিষয়ে জানিয়েছি।` সীমা উত্তরপ্রদেশের হয়ে সাব-জুনিয়র, জুনিয়র ও সিনিয়র জাতীয় পর্যায়ের চ্যাম্পিয়নশিপে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত উত্তরপ্রদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (UP Olympic Association) সাধারণ সচিব আনন্দেশ্বর পাণ্ডে (Anandeshwar Pandey)। রাজস্থানের ভিওয়ান্ডি পুলিস স্টেশনে পাণ্ডের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন জাতীয় পর্যায়ের প্রাক্তন হ্যান্ডবল প্লেয়ার সীমা শর্মা (Seema Sharma)। পাণ্ডের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ সীমার। পাণ্ডে ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ (Indian Olympic Association) ও সর্বভারতীয় হ্যান্ডবল ফেডারেশনেরও (Handball Federation of India, HFI) সাধারণ সচিব।
গত রবিবার পাণ্ডের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ধর্ষণ), ৫১১ (অপরাধের চেষ্টা) ও ৫০৬ (অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন) মামলা রজু করা হয়েছে। সীমা জানিয়েছেন যে, গত মার্চে পাণ্ডে তাঁকে উত্তরপ্রদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের অফিসে ডাকেন। সেখানেই ধর্ষণের চেষ্টা করেন। লখনউয়ের হজরতগঞ্জ পুলিস স্টেশনে এই মামলা স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ভিওয়ান্ডি পুলিস স্টেশনের থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। গত ১২ মার্চ লখনউয়ের কেডি সিং বাবু স্টেডিয়ামে ট্রায়াল ছিল। সীমা জানিয়েছেন যে, তিনি শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন ২৬ মার্চের আগেই। চূড়ান্ত নির্বাচন ছিল ছাব্বিশে। সীমার কোচই তাঁকে পাণ্ডের অফিসে যেতে বলেছিলেন। সেখানে যাওয়ার পর পাণ্ডে তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও শ্লীলতাহানি করেন। এমনটাই বলছে সীমার এফআইআর। সীমা অভিযোগে লিখেছেন, 'উনি আমাকে হুমকি দেন যে পরিণতি ভাল হবে না। কারণ উনি অত্যন্ত শক্তিশালী এবং আমার কেরিয়ার শেষ করে দিতে পারেন। আমি আমার উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকদের এই ঘটনার বিষয়ে জানিয়েছি।' সীমা উত্তরপ্রদেশের হয়ে সাব-জুনিয়র, জুনিয়র ও সিনিয়র জাতীয় পর্যায়ের চ্যাম্পিয়নশিপে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। সীমা এও জানিয়েছেন যে, পাণ্ডে অতীতেও একাধিকবার এমন অপরাধ করেছেন অন্য় খেলোয়াড়দের সঙ্গে। বহু হ্যান্ডবল প্লেয়ারের কেরিয়ার শেষ করে দিয়েছেন। কিন্তু কেউ তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পাননি। কারণ পাণ্ডে অত্যন্ত প্রভাবশালী একজন ব্যক্তি।
গত সপ্তাহে পাণ্ডের একাধিক মহিলার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ছবি সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। যদিও পাণ্ডে বিষয়টি রাজনৈতিক চক্রান্ত বলে দাবি করেন। পাশাপাশি তিনি ওই ভাইরাল ছবিগুলি নিয়ে লখনউ পুলিসের সাইবার সেলেও অভিযোগ করেন। পাণ্ডে নিজে একজন প্রাক্তন জাতীয় পর্যায়ের দৌড়বিদ! হ্যান্ডবল প্লেয়ার হিসাবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। ৭৭-৭৮ সালে উত্তরপ্রদেশের হয়ে জাতীয় পর্যায়ে প্রতিনিধিত্বও করেছেন। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ন্যাশনাল গেমস শুরু হবে। পাণ্ডে কোঅর্ডিনেশ কমিটির চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন।