Neeraj Chopra : ইতিহাস গড়ে কোন বিশেষ মানুষকে ধন্যবাদ জানালেন `সোনার ছেলে`? জেনে নিন
Neeraj Chopra : জুরিখের লেটজিগ্রান্ড স্টেডিয়ামে নীরজ শুরুটা ফাউল দিয়ে করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় নীরজ তাঁর বর্শা পাঠান ৮৮.৪৪ মিটার দূরে (কেরিয়ারের চতুর্থ সেরা প্রয়াস)। এই থ্রোই নীরজকে এনে দেয় স্বপ্নের খেতাব।
জি২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: টোকিয়ো অলিম্পিক্সে (Tokyo Olympics) সোনা জেতার পর, বিশ্ব অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপে (World Athletics Championship) রুপো জয়। আর এ বার চোট সারিয়ে প্রথম ভারতীয় (India) হিসেবে ডায়মন্ড লিগে (Diamond League) সোনা জিতলেন নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra)। বিশ্ব অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার সময় কুঁচকিতে চোট পেয়েছিলেন। ফলে বার্মিংহ্যাম কমনওয়েলথ (Commonwealth Games 2022) গেমস থেকে নাম তুলে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। তবে এ বার চোট সারিয়ে জ্যাভলিন হাতে নেমে ইতিহাস গড়লেন 'সোনার ছেলে'। আর সোনা জিতেই নিজের কাকু ও পরিবারের সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জানালেন অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী অ্যাথলিট।
টুইটারে নীরজ লিখেছেন, '২০২২ সালে অবশেষে সাফল্য পেলাম। প্রথমবার ডায়মন্ড লিগে সোনা জেতার পর দারুণ অনুভূতি হচ্ছে। স্টেডিয়ামের পরিবেশ দারুণ ছিল। আমার কাকু ও বন্ধুরা প্রতিটা মুহূর্ত তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেছে। সবার ভালবাসা ও সমর্থনের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।'
জুরিখের লেটজিগ্রান্ড স্টেডিয়ামে নীরজ শুরুটা ফাউল দিয়ে করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় নীরজ তাঁর বর্শা পাঠান ৮৮.৪৪ মিটার দূরে (কেরিয়ারের চতুর্থ সেরা প্রয়াস)। এই থ্রোই নীরজকে এনে দেয় স্বপ্নের খেতাব। এরপরের চারটি প্রয়াসে নীরজ তাঁর জ্যাভলিন যথাক্রমে ৮৮.০০ মিটার, ৮৬.১১ মিটার, ৮৭.০০ মিটার ও ৮৩.৬০ মিটার দূরত্বে ছোড়েন। ডায়মন্ড লিগ ফাইনালে অলিম্পিক্স রুপো জয়ী চেক প্রজাতন্ত্রের জাকুব ভাদলেজ ৮৬.৯৪ মিটার ছুড়ে দ্বিতীয় হয়েছেন ও জার্মানির জুলিয়ান ওয়েবার তৃতীয় হয়েছেন ৮৩.৭৩ মিটার ছুড়ে।
চোট-আঘাতের সমস্যা কাটিয়ে দীর্ঘ এক মাস পর ট্র্যাকে ফিরেছেন নীরজ। সপ্তাহখানেক আগে ডায়মন্ড লিগের লোজানে লেগে নেমেই চমকে দিয়েছিলেন নীরজ। তিনি শীর্ষস্থান দখল করেন ৮৯.০৮ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন নিক্ষেপ করেছিলেন। প্রথম কোনও ভারতীয় হিসাবে মিট খেতাব জেতেন। নীরজ বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, এ বার ইতিহাস লিখেই ফিরবেন। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে নীরজ এই ইভেন্টের ফাইনালের জন্য কোয়ালিফাই করলেও সাতে এবং চারে শেষ করেছিলেন। নীরজ এ বার খেতাব জিতে অধরা স্বপ্নপূরণ করলেন।
কমনওয়েলথ থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করার পর নীরজ চোট সারিয়ে নেমেছিলেন এই ডায়মন্ড লিগের মিটেই। ২০০৮ সালে বেজিং অলিম্পিক্সে শ্যুটিংয়ে সোনা জিতেছিলেন অভিনব বিন্দ্রা। নীরজ টোকিয়ো অলিম্পিক্সে জ্যাভলিন ছুড়ে দেশকে সোনা এনে দিয়েছিলেন। নীরজের সেই 'সোনা'র বর্শা আছে এখন সুইজারল্যান্ডের লোজানে অবস্থিত অলিম্পিক মিউজিয়ামে। নীরজের জ্যাভলিনের ঠিকানা এই বিশেষ জাদুঘর। নীরজ নিজে হাতে তাঁর জ্যাভলিন মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষকে দিয়ে এসেছেন কিছুদিন আগেই। আর সেই সুইসদের দেশেই নীরজ ইতিহাস লিখে দিলেন।