নিজস্ব প্রতিবেদন: লক্ষ্মীবারে লক্ষ্মীলাভ। হ্যাঁ, একেবারেই তাই। বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ার রাউন্ডে জিম্বাবোয়ের ওল্ড হারারিয়ানস স্পোর্টস ক্লাবের মাঠে পাপুয়া নিউ গিনিকে হারিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের স্বীকৃতি আদায় করে নিল নেপাল। যার ফলে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আরব আমির শাহী, আফগানিস্তানের পর এবার এশিয়া থেকে আরও এক দেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের স্বীকৃতি পেল। যা নেপালের মত ছোট্ট দেশটির ক্রীড়া অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ খবর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্রে ১০ নম্বরের বিরাট


উল্লেখ্য, আজ থেকে ৮ বছর আগে বিশ্ব ক্রিকেটের মঞ্চে প্রথম পা রাখে নেপাল। ২০১০ সালে ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লিগের পঞ্চম ডিভিশনে নেপাল অংশগ্রহন করে। তারপর দীর্ঘ লড়াইয়ের পথে কখনও পিছু হটেনি এশিয়ার এই দেশ। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব নেপাল গঠিত হওয়ার পর আইসিসির রোষানলে পড়ে বিশ্ব ক্রিকেটের সার্কিট থেকে নির্বাসিত হয়ে যায় নেপাল। আইসিসি'র ২.৯ ধারা অনুযায়ী সাসপেন্ড করা হয় নেপালের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে। নেপাল ক্রিকেট বোর্ডে সেদেশের সরকারি হস্তক্ষেপের কারণেই এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল। এরপরও হাল ছাড়েনি নেপাল। 


আরও পড়ুন- যুবরাজের ছক্কার রেকর্ড ভাঙলেন রোহিত


বৃহস্পতিবার পরশ খড়কার নেতৃত্বাধীন নেপাল প্রমাণ করল, সৎ প্রচেষ্টাই স্বীকৃতি এনে দেয়। সন্দীপ লামিচানের অনবদ্য স্পিনে ওসিয়ানিয়ার পাপুয়া নিউ গিনিয়ার মুখ থুবড়ে পড়া আর তারপর রান তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেটে জয়...এভাবেই ইতিহাস গড়ল নেপাল। 



আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের তকমা অর্জনের পর দলনায়ক পরশ বলছেন, "নেপালের জন্য এটা বিরাট গর্বের দিন। এই যাত্রাটা বেশ সুন্দর। সবাই মিলেই সাফল্য পেলাম।" আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নবীনতম সদস্যকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, প্রাক্তন অজি অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক এবং পাক কিংবদন্তী ইঞ্জামামুল হক।