অলিম্পিকের নতুন খেলা- `ককটেল ব্যাডমিন্টন`
খেলতে খেলতে শেখা। শিখতে শিখতে খেলা। মন্ত্র এটাই। এবারের মতো অলিম্পিকের দি এন্ড হয়ে গেলেও, রিও কিন্তু এখনও মেতে এই মন্ত্রেই। জনপ্রিয়তায় ঝড় তুলছে, ব্যাডমিন্টনের সঙ্গে সাম্বার ককটেল।
ওয়েব ডেস্ক: খেলতে খেলতে শেখা। শিখতে শিখতে খেলা। মন্ত্র এটাই। এবারের মতো অলিম্পিকের দি এন্ড হয়ে গেলেও, রিও কিন্তু এখনও মেতে এই মন্ত্রেই। জনপ্রিয়তায় ঝড় তুলছে, ব্যাডমিন্টনের সঙ্গে সাম্বার ককটেল।
নাচ না খেলা? খেলা নাকি নাচ? গুলিয়ে যাচ্ছে তো! সব আবোল-তাবোল ঠেকছে! আসলে এ হল ফিটনেসের নয়া টেকনিক। ব্যাডমিন্টন কোর্টে, সাম্বার ছন্দ।
আরও পড়ুন- বিয়ে করতে চলেছেন উসেইন বোল্ট!
এমনিতেই সিন্ধুর রূপোলি ছটায় ব্যাডমিন্টনের কথা এখন প্রত্যেক ভারতবাসীর মুখে। ক্রেজ তুঙ্গে। তাতে আবার এই ডান্সিং তরকা।
সুপারহিট ফর্মূলা। একে ঠেকায়, কার সাধ্যি।
জীবনে যখন প্রথমবার ব্যাডমিন্টনের কথা শোনেন সেবাস্টিও অলিভিয়েরা, তখন মুখ থেকে ছিটকে বেরিয়ে এসেছিল, ব্যাড...হোয়াট!!!! এই শব্দগুলিই। জীবনে দীর্ঘ ষোলোটি বসন্ত পেরিয়ে, এখন তিনি ব্রাজিলে ব্যাডমিন্টনের সফল কোচ। তাঁর মাথা থেকেই বেরিয়েছে এই নাচ আর খেলার অদ্ভুত ককটেল। নাম, মিরাটাস প্রজেক্ট।
দুরন্ত বডি মুভমেন্ট, ফুটওয়ার্ক সঙ্গে মনঃসংযোগ, তিনের মিলিত ফসল মিলছে এক সাম্বাতেই। হাতেনাতে ফল, খেলার ময়দানে। এই মেথডেই আসবে সাফল্য। বিশ্বাস কোচের। কোচের বিশ্বাসে, আত্মবিশ্বাসী এরাও।
আরও পড়ুন- সিন্ধু আর সাক্ষীর জন্য যা যা হচ্ছে শুনেছেন?
সাম্বা-কেমিস্ট্রিতে তাই মজেছে রিও-র এই ব্যাডমিন্টন ক্লাস। অলিম্পিকের বহু নক্ষত্রের জন্ম অলিভিয়েরার হাত ধরে। নিজের ছেলেকেও পৌছে দিয়েছেন অলিম্পিকের মঞ্চে। লক্ষ্য, তাঁর ছাত্রদেরও সেই প্ল্যাটফর্মের জন্য তৈরি করা। পরের পর প্রজন্ম আসুক, শিখুক এই গেম। ছড়িয়ে পড়ুক মিরাটাস। ছড়াক খেলার আনন্দ। চাহিদা এটুকুই।