Novak Djokovic`s Retirement: বাবা বাজালেন ছেলের বিদায়ঘণ্টা! এখনই চোখ ছলছল টেনিসের
Novak Djokovic Father Drops Retirement Bomb: রজার ফেডেরার গতবছর টেনিসকে বলেছেন গুডবাই। রাফায়েল নাদাল জানিয়েছেন যে, আগামী বছরই তাঁর শেষ। এবার নোভাক জকোভিচেরও অবসর নিয়ে চলে এল বিরাট আপডেট।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গতবছর লেভার কাপ খেলে টেনিসকে আলবিদা বলেছেন রজার ফেডেরার (Roger Federar)। ২৪ বছরের বর্ণময় কেরিয়ারে ফেডেরার জিতেছেন কুড়িটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম। সুইস সম্রাট টেনিস ছাড়ার সঙ্গেই এক শূন্যতা তৈরি হয়েছিল। টেনিসের সর্বকালের অন্যতম সেরা ও এই প্রজন্মের 'বিগ থ্রি'র একজন ছিলেন রাজা রজার। ফেডেরার ছাড়ার পর এখনও টেনিস স্বপ্ন দেখে রাফায়েল নাদাল (Rafael Nadal) ও নোভাক জকোভিচকে (Novak Djokovic) ঘিরে। চলতি বছর ফরাসি ওপেন শুরুর আগেই লাল সুড়কির সম্রাট বলেছিলেন যে, তিনি আগামী বছরই টেনিসকে গুডবাই বলবেন। এবার জকোভিচের অবসর নিয়েও চলে এল বিরাট আপডেট। আর সেই বুক ভাঙা খবর দিলেন জকোভিচের নিজের বাবাই। জকোভিচকে নিয়ে তথ্যচিত্র হয়েছে। নাম 'নোভাক জকোভিচ, আনটোল্ড স্টোরিজ' (Novak Djokovic, Untold Stories)। সেখানেই জকোভিচের বিদায়ঘণ্টা বাজিয়েছেন তাঁর বাবা।
আরও পড়ুন: Asian Games 2023: এশিয়াডের ড্র হয়ে গেল! সুনীল-সন্দেশদের লড়াই কাদের সঙ্গে?
সারজান জকোভিচ বলছেন, 'দেখুন, আজ থেকে সাত-আট বছর আগেই ওর সব স্বপ্ন পূরণ হয়ে গিয়েছে। বাকি যা ঘটছে তা অসাধারণ বোনাস। নোভাক ধীরে ধীরে তবে নিশ্চিত ভাবে ওর শেষের দিকে। তবে এখনই শেষ নয়। এক বা দেড় বছরে তা ঘটবে। আমি বাবা হিসেবে চাইব, অত্যন্ত কঠিন এই কাজটা ওর থামানো উচিত। শারীরিক ও মানসিক ভাবে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। বিগত ৩০ বছর ধরে ও অত্যন্ত দায়বদ্ধতার সঙ্গে এটাই করে আসছে। সত্যি বলতে টেনিস ছাড়া অন্য কিছুর জন্য ওর কাছে সময় নেই। আমি বলব, টেনিস ওর জীবনের অঙ্গ। ওর পুরো জীবন টেনিস নয়। আমি চাই ও কেরিয়ার শেষ করার পর আরও এমন কিছু করবে, যার জন্য় পরিচিতি পাবে। আশা করি আগামী বছর ও টেনিসবিশ্বকে বিদায় বলবে। ' নোভাকের মা ডিজানা বলছেন যে, তাঁর ছেলে হয়তো আরও বছর দুই খেলবে। তবুও তাঁর সংযোজন, 'টেনিস ছাড়ার ব্যাপারটা নোভাকের উপর নির্ভর করছে। আমি যতটুকু জানি যে, ও চাইলে এখনই অবসর নিতে পারে। ও সব জিতে গিয়েছে।'
দিন দশেক আগে উইম্বলডনের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলেন বিশ্বের এক নম্বর কার্লোস আলকারাজ এবং দু’নম্বর জোকোভিচ। অল ইংল্যান্ড লন টেনিস অ্যান্ড ক্রোসেট ক্লাবে জোকোভিচের লক্ষ্য ছিল কেরিয়ারের অষ্টম উইম্বলডন খেতাব জিতে ফেডেরারকে স্পর্শ করার। অন্যদিকে স্পেনের বছর কুড়ির আলকারাজের মিশন ছিল গতবছর যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের পর জীবনের দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার। চলতি উইম্বলডনে পুরুষ বিভাগের দুই ফাইনালিস্টের নাম ঘোষণা হওয়ার পরেই, একটা কথা বারবার বলা হচ্ছিল, এই ম্যাচ হতে চলেছে অভিজ্ঞতা বনাম তারুণ্যের লড়াই। কিংবদন্তি জকোভিচের থেকে ১৬ বছরের ছোট আলকারাজ। স্প্যানিশ যুবককেই টেনিসবিশ্ব আগামীর মহাতারকা হিসেবে দেখছে। মহারণে শেষ হাসি হেসেছেন সেই আলকারাজই। তিনি হয়ে গেলেন 'জায়ান্ট কিলার'! আলকারাজ জেতেন ১-৬, ৭-৬ (৬), ৬-১, ৩-৬, ৬-৪ গেমে। ঘাসের কোর্টে কার্যত দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হেরে গেলেন ২৩ গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক। জকোভিচ উইম্বলডন ফাইনালে হারার পর টরন্টো মাস্টার্স থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেন। কোর্ট থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্তই নিলেন তিনি।