অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড, বাংলাদেশ-জিম্বাবোয়ে ম্যাচে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ঘিরে অসন্তোষ
একটা সময় মুশফিকুর নিজেও আম্পায়ারদের বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেন যে টেলর যেটা করেছেন তা বেআইনি।
নিজস্ব প্রতিনিধি : সিরিজের তৃতীয় একদিনের ম্যাচ খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ-জিম্বাবোয়ে। আর সেই ম্যাচেই অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড-নিয়ে আম্পায়ারের এক সিদ্ধান্ত ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশ দলের পক্ষ থেকেও আম্পায়ারদের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রবল অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- কোহলি-বুমরাহ ছাড়া বাকিরা লবডঙ্কা! ভারতকে অলআউট করল উইন্ডিজ
ঘটনার সূত্রপাত জিম্বাবোয়ে ইনিংসের ১৩ নম্বর ওভারের শেষ বলে। বাংলাদেশের পেসার আরিফুল হককে সোজা ব্যাটে খেলেন ব্রেন্ডন টেলর। বল সোজা চলে যায় আরিফুলের হাতে। সেই সময় স্টাম্প থেকে কিছুটা বেরিয়ে ছিলেন টেলর। ফলে তাঁকে আউট করার জন্য বল সোজা উইকেট উদ্দেশ্য করে ছুঁড়ে মারেন বাংলাদেশের পেসার। কিন্তু উইকেটের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ান টেলর। প্যাডে লাগিয়ে দেন বল। ঘটনার পরই প্রবল বিরোধিতা করেন আরিফুল। উইকেটের পিছন থেকে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম। চাপের মুখে পড়ে থার্ড আম্পায়ারের কাছে আবেদন পাঠান ফিল্ড আম্পায়াররা। কিন্তু যাবতীয় পর্যালোচনার পর অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড- আবেদন খারিজ করে দেন।
আরও পড়ুন- প্রথম ভারতীয় হিসেবে শতরানের হ্যাটট্রিক বিরাট কোহলির
একটা সময় মুশফিকুর নিজেও আম্পায়ারদের বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেন যে টেলর যেটা করেছেন তা বেআইনি। তিনি এটাও বলার চেষ্টা করেন, টেলর সেই মুহূর্তে স্টাম্পের বাইরে ছিলেন। তাই নিজেকে আউট হওয়া থেকে বাঁচাতে ইচ্ছাকৃতভাবে পায়ে বল ঠেকান টেলর। কিন্তু ততক্ষণে আম্পায়াররা টেলরকে নির্দোষ বলে দিয়েছেন। কারণ হিসাবে বলা হয়, শট খেলার পর খুব বেশি নড়াচড়া করেননি টেলর। শট নেওয়ার পর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বোলার আরিফুল বল ছুঁড়ে মারেন উইকেটের দিকে। এত দ্রুত টেলরের পক্ষে নিজের পজিশন থেকে সরে আসা সম্ভব ছিল না। তাই বল এসে লাগে তাঁর পায়ে। পুরো ব্যাপারটাই অনিচ্ছাকৃত। যদিও যে ভিডিও আপাতত সোশ্যাল সাইটে ঘোরাফেরা করছে তা কিন্তু অন্য কথা বলছে।