ওয়েব ডেস্ক: শনিবারের সন্ধ্যাটা একেবারে জমে গেছিল। রানের ফোয়ারা না ছুটুক, চার ছক্কার বন্যা না হোক। দুই দলের বোলাররা ম্যাচটা জাস্ট জমিয়ে দিলেন। মাত্র ৮৩ রান তাড়া করতে নেমে ভারতের পাঁচ উইকেট টলে গিয়েছিল। ম্যাচটা ভারত জিতলেও লড়াইটা বেশ কঠিন ছিল। তবে ম্যাচটা আরও জমত। যদি এই পাঁচটা জিনিস ঘটত--


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১) আমের আর একটু সঙ্গ পেলে--২৪টা বল করেছেন। তার মধ্যেই ভারতের ব্যাটিংয়ে ধস ধরিয়ে দিয়েছিলেন। আমের আতঙ্কে ভূগছিল ভারতের ব্যাটিংলাইন আপ। কিন্তু ২৪টা বলের আতঙ্কটা বজায় তো দূরে থাক, আতঙ্কের পরিবেশটা ধরেই রাখতে পারলেন না মহম্মদ ইরফান, মহম্মদ রিয়াজরা। মহম্মদ সামি একটা চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু লাইন লেন্থে সমস্যা হচ্ছে ইরফান, রিয়াজদের।



২) রিয়াজ ফর্মে থাকলে-- গত বছর বিশ্বকাপে ওয়াটসনকে করা রিয়াজের স্পেলটা তো ইতিহাস গড়ে দিয়েছে। কিন্তু এই রিয়াজকে চেনা গেল না। মীরপুরের সবুজ পিচেও রিয়াজ বেসিক ভুল করলেন। ফল ,ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা 'রিলিফ' পেয়ে গেলেন। রিয়াজ ফর্মে থাকলে লড়াইটা আরও একটু টাফ তো হতই।



৩) যুবরাজের ভাগ্য সঙ্গ না দিলে-- যুবরাজ করলেন ৩২ বলে ১৪ নট আউট। একদিকে ধরে রেখে দলের জেতার কাজটা সহজ করে দেন। কিন্তু যুবি শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিলেন। প্রথম বলেই যে বলটা জাজমেন্ট দেন যুবি, সেটা অন্য যে কোনও দিন হলে উইকেটটা উপুড়ে দিত। যুবি শুরুতে আউট হয়ে গেলে ধোনি, কোহলির উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে যেত।



৪) রানের পুঁজি আর একটু বেশি থাকলে-- ৮৩ রানটা কোনও ধরনের ক্রিকেটেই লড়াই করার মত রান নয়। ৮৩ রানে লড়াইটা অনেকটা শীতকালের কম্বলের মত ওপরটা টানলে নিচেটা বেরিয়ে যায়, আবার নিচেটায় দিলে ওপরটা বেরিয়ে যায়। অন্তত ১১০-১২০ রান পাকিস্তান তুলতে পারলে লড়াই আরও জমে যেত।



৫) আফ্রিদি আরও একটু স্মার্টভাবে বোলারদের ব্যবহার করলে- আমেরকে প্রথম আট ওভারের মধ্যেই ব্যবহার করে ফেলেন আফ্রিদি। হয়তো শেষের জন্য একটা ওভার তুলে রাখা যেত। রিয়াজকে অনেক পরে আনলেন। ইরফানকে একটু বেশি ভরসা করে ফেললেন। ধোনির কাছ থেকে একটু শিখলে লাভই হত আফ্রিদির।