নিজস্ব প্রতিবেদন : এবার এক ঘোড়া নিয়ে ভারত-পাকিস্তান লড়াই! ভারতীয় ঘোড়সওয়ার ফাওয়াদ মির্জা ২০২০ অলিম্পিকে কোয়ালিফাই করেছেন। একই বিভাগে পাকিস্তানের ঘোড়সওয়ার উসমান খান কোয়ালিফাই করে আবার ইতিহাস লিখে ফেলেছেন। কারণ, তিনিই প্রথম পাকিস্তানি ঘোড়সওয়ার যিনি অলিম্পিকের এই বিভাগে কোয়ালিফাই করেছেন। তবে সমস্যা অন্য জায়গায়। অলিম্পিকের ইভেন্টে উসমান যে ঘোড়ার উপর সওয়ার হয়ে রেসে নামবেন তাকে নিয়েই যত সমস্যা। পাকিস্তানের ঘোড়সওয়ার ইচ্ছে করেই রাজনৈতিক বিতর্কের শুরু করলেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উসমান তাঁর ঘোড়ার নাম দিয়েছেন আজাদ কাশ্মীর। যদিও এটি সেই ঘোড়ার আসল নাম মোটেও নয়। সেই ঘোড়ার তদারকি করত ইন্টারন্যাশনাল ইকুয়েস্ট্রিয়ান ফেডেরেশন। ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বেলিন্ডা ইসিবিস্টর-এ সেই বে-কোল প্রজাতির ঘোড়াটিকে কেনেন উসমান। তখন সেই ঘোড়াচটির নাম ছিল হিয়ার টু-স্টে। এর পর ঘোড়াটির নাম বদলে আজাদ কাশ্মীর রেখে দেন উসমান। এই নামেই এবার তিনি অলিম্পিকে নামতে চাইছেন। তবে আপত্তি জানিয়েছে ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা। অকারণ রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে বলে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থার কাছে অভিযোগ জানিয়েছে ভারতীয় সংস্থা।


আরও পড়ুন-  সেঞ্চুরি করলেই জিভ বের করে ভেংচি কাটেন রস টেলর, এ কেমন সেলিব্রেশন!


অলিম্পিক চার্টার নিয়ম ৫০-এর অন্তর্গত হয়েছে ব্যাপারটি। অলিম্পিকের নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনও ইঙ্গিত কোনও দেশের রাজনৈতিক, ধর্মীয় ভাবনায় আঘাত করে তা হলে সংশ্লিষ্ট দেশের অলিম্পিক কোটা বাতিল হতে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্য উসমান খানের সঙ্গে কথা বলবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থা। শেষমেশ যদি উসমান খানের ঘোড়ার আজাদ কাশ্মীর নাম বাতিল হয় তা হলে কী হবে! সেক্ষেত্রে FEI পরিচয়ে নামবে সেই ঘোড়া। FEI আসলে একটি আলফা নিউমেরিক কোড। প্রতিযোগিতায় অনেক ঘোড়াই এই পরিচয়ে নামে।