নিজস্ব প্রতিনিধি : ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ছাত্রদের সামনে বক্তৃতা দিতে গিয়েছিলেন। কথা বলতে বলতে যেন একটু বেশিই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন শাহিদ আফ্রিদি। ''পাকিস্তানের প্রশাসন কাশ্মীরের পরিস্থিতি সামলাতে পারবে না। পাক প্রশাসন তাদের চারটি প্রদেশই সামলাতে ব্যর্থ। তারা কী করে কাশ্মীরের অশান্ত পরিবেশ শান্ত রাখবে! পাকিস্তানের কখনও কাশ্মীর দাবি করা উচিত নয়। আমার মনে হয়, কাশ্মীর ভারতেরও থাকা উচিত নয়। কাশ্মীরকে আলাদা রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করা উচিত। ওখানে এত মানুষকে নির্বিচারে মারা হচ্ছে। মনুষ্যত্ব রক্ষা করা উচিত। যেভাবে কাশ্মীরে মানুষ মারা যাচ্ছে, মেনে নেওয়া যায় না। এমন পরিস্থিতি দেখতে খুব কষ্ট হয়।'' পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে উদ্দেশ্য করে এমনই বলে ফেলেন আফ্রিদি। তাঁর এমন মন্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানজুড়ে ঝড়। এখন ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  আইপিএল খেলতে হলে মানতে হবে এই তিন শর্ত! ফরমান ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার


ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে দুই দেশ সদর্থক পদক্ষেপ আশা করছে। স্বাভাবিকভাবেই কাশ্মীর-ইস্যু সেই তালিকার উপরের দিকেই রয়েছে। কিন্তু এমন পরিস্থিততে আফ্রিদির পাকিস্তান নিয়ে এমন মন্তব্য পড়শি দেশে অশান্তির উত্পত্তি করেছে। আফ্রিদিও উত্তপ্ত পরিস্থিতির আঁচ করতে পেরেছেন। এবং নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে ক্ষমা চেয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেছেন। এক্ষেত্রে আফ্রিদি অবশ্য যাবতীয় দোষ দিয়েছেন ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের উপর। তাঁর বক্তব্য, তিনি যা বলেছেন তার অপব্যাখ্যা করা হয়েছে। আসলে তিনি যেটা বলতে চেয়েছেন সেটা তুলে ধরা হয়নি।


আরও পড়ুন-  ভোটের কারণেই বাদ দেওয়া হয়েছিল সচিনের অভিষেক টেস্টের সম্প্রচার!


আফ্রিদি লিখেছেন, ''আমার মন্তব্যকে বিকৃত করে প্রচার করেছে ভারতীয় মিডিয়া। পাকিস্তানের প্রতি আমার ভালবাসা কোনও অংশে কম নয়। তবে কাশ্মীরের মানুষের টিকে থাকার লড়াইকে আমি সম্মান করি। আমার মনে হয়, যে কোনও মূল্যে ও পরিস্থিতিতে মানবতার জয় হওয়া উচিত। কাশ্মীরীরা যেন নিজেদের অধিকার ও দাবির যোগ্য মূল্য পায়।'' প্রসঙ্গত, আফ্রিদির বলা কথাগুলো ভিডিও থেকে ছড়ায়। তিনি কী বলেছেন, কেমনভাবে বলেছেন সেক্ষেত্রে সবটাই সবার চোখের সামনে রয়েছে। দেখে নেওয়ার সুযোগও রয়েছে। তাই, মন্তব্যের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৩৬০ ডিগ্রি ডিগবাজি খেয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোলের প্রচেষ্টা আদতে প্রতিষ্ঠিত হয় কি না, সেটাই এখন দেখার!