ভোটের কারণেই বাদ দেওয়া হয়েছিল সচিনের অভিষেক টেস্টের সম্প্রচার!
সাল ১৯৮৯। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সচিন রমেশ তেন্ডুলকরের অভিষেক।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভাগ্যিস ইউটিউব নামের একটা সামাজিক মাধ্যাম ছিল। সেটা না থাকলে তো সচিনের অভিষেক ইনিংসটাই দেখা হত না!
আরও পড়ুন- মাহির মহানুভবতা! ভাইরাল ভিডিও
সাল ১৯৮৯। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সচিন রমেশ তেন্ডুলকরের অভিষেক। তখনও স্যাটেলাইট কমিউনিকেশনের সঙ্গে ভারতীয় গণমাধ্যমের পরিচয় হয়নি। বেসরকারি চ্যানেলের কথা তো ভাবাই যায় না! ভারতবাসীর কাছে সেসময় টেলিভিশন বলতে ছিল একটাই নাম, দুরদর্শন। সরকারি চ্যানেলও ছিল ওটাই। দেশ-বিদেশের খবরাখবর, ক্রীড়া, বিবোদন সবই দেখা যেত ওই একটা চ্যানেলেই। খুব স্বাভাবিক কারণেই, সচিনের অভিষেক দেখতে তাই দুরদর্শন-ই ছিল ক্রিকেট অনুরাগীদের একমাত্র ভরসা। আর সেই দুরদর্শন-ই যখন নির্বাচনী সম্প্রচারকে অগ্রাধিকার দিয়ে ক্রিকেট সম্প্রচারকে ‘বাতিল’ করার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন হতাশ হওয়া ছাড়া আর সেবার রাজনৈতিক সংবাদ সম্প্রচারকে অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে বঞ্চিত করা হয়েছিল ক্রীড়াপ্রেমী ভারতবাসীর ক্রিকেট আবেগকে। দেশের নবম লোকসভা নির্বাচনের টেলিভিশন সম্প্রচারের জন্য ভারতীয় ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফর কাঁটছাঁট করেছিল দুরদর্শন। আর সেই কারেণেই বাদ পড়ে সচিনের অভিষেক ম্যাচ।
আরও পড়ুন- ''তোমার আর প্রয়োজন নেই'', টেক্সট করে পেসারকে জানাল শাহরুখের দল
ওই বছর ২২ নভেম্বর থেকে ২৬ নভেম্বর লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দুরদর্শন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাকিস্তান সফরে ভারতের প্রথম দুটি টেস্ট সম্প্রচার করা হবে না। সেই মতো ১৫ থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত ক্রিকেট সম্পর্কিত কোনও সম্প্রচারই করেনি দুরদর্শন। আর এটা হওয়াতেই, সচিন তেন্ডুলকরের অভিষেক ম্যাচ দেখা থেকে বঞ্চিত হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীরা।
This day, every year, brings back so many memories of the day I 1st represented India. It was an honour to play for the country and be able to represent India for 24 years. #TBT #ThrowbackThursday pic.twitter.com/k6cT1aT5XE
— Sachin Tendulkar (@sachin_rt) November 15, 2018
উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালের ১৫ নভেম্বর করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে অভিষেক হয় সচিনের। জীবনের প্রথম টেস্টে কেবল ১৫ রানেই ফিরেছিলেন তিনি। আউট হয়েছিলেন পাক তারকা ওয়াকার ইউনিসের বলে।