নিজস্ব প্রতিবেদন- ক্যারিয়ারের প্রথম থেকেই আকাশছোঁয়া প্রত্যাশা তাঁকে তাড়া করেছে। জীবনের প্রথম টেস্ট সিরিজ খেলতে নেমে ভয়ানক বাউন্সার ফেস করতে হয়েছে তাঁকে। সেই বাউন্সার নাকে লেগে গলগল করে রক্ত বেরিয়েছে। সচিন তেন্ডুলকার আবার উঠে দাঁড়িয়ে ব্যাটিং করেছেন। দাপটের সঙ্গে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। কিন্তু সেদিনকার ছোটখাটো চেহারার ওই ব্যাটসম্যানকে দেখে পাকিস্তানের কিংবদন্তি ওয়াকার ইউনিসের একবারও মনে হয়নি, ওই ছেলেটা একদিন ক্রিকেটের ঈশ্বর হয়ে উঠবে। আর এতদিন পর সেই কথা অকপটে স্বীকার করে নিলেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার। তিনি জানালেন, করাচিতে প্রথমবার সচিনকে দেখে তার কখনোই মনে হয়নি, এই ছেলে লম্বা রেসের ঘোড়া।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১৯৮৯ সালে করাচিতে একই সিরিজে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল দুই দেশের দুই কিংবদন্তির। পাকিস্তানের বর্তমান বোলিং কোচ ওয়াকার বলছিলেন, ''সচিনের মতো ওই সিরিজে আমারও অভিষেক হয়েছিল। যে স্বপ্নটা ছোট থেকে দেখতাম সেটাই পূরণ হয়েছিল। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে নামার জন্য আবেগতাড়িত ছিলাম। অল্পতেই প্রচন্ড উৎসাহিত বোধ করছিলাম। ওই ম্যাচে নামার আগে আমার সামান্য চোট লেগেছিল। কিন্তু তাই নিয়েই ১৮ ওভার বল করেছিলাম। চারটি উইকেট তুলেছিলাম। ১৫ রানে আউট করেছিলাম সেদিন সচিনকে। তবে সেদিন তেন্ডুলকারকে প্রথম দেখে আমার একবারও মনে হয়নি, ও ভবিষ্যতে বিশ্ব ক্রিকেট শাসন করবে! তবে হ্যাঁ একটা ব্যাপার মনে পড়ে, সচিনের বেশ কয়েকটা শট দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। 


আরও পড়়ুন-  পাকিস্তানি হিন্দু উদ্বাস্তুদের জন্য বড়সড় পদক্ষেপ শিখর ধাওয়ানের


সময় যত গড়িয়েছে ততই শচীনের ব্যাটিং দেখে মুগ্ধ হয়েছেন ইউনিস। বিশ্ব ক্রিকেটের মহীরুহে পরিণত হয়েছেন সচিন। প্রথম দর্শনে সচিনকে আন্দাজ করতে না পারার আফসোস করেন ওয়াকার। তিনি বলছিলেন, ''ওই সিরিজের একটা ম্যাচ ছিল শিয়ালকোটে। সিরিজ জেতার জন্য আমরা কিউরেটরকে সবুজ ও বাউন্সি উইকেট তৈরি করতে বলেছিলাম। ওই ম্যাচে আমার একটা বাউন্সার তেন্ডুলকারের নাকে গিয়ে লাগে। আমরা সবাই খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু মিনিট সাত-আটেক বাদেই ও আবার ব্যাটিং করে। ছোটখাটো চেহারা হলেও বাউন্সারের বিরুদ্ধে ওকে টালমাটাল হতে দেখিনি কখনও। ওটা সচিনের সাহসী ইনিংসগুলির মধ্যে একটি।''