নিজস্ব প্রতিবেদন: ফুটবল ছেড়ে ক্রিকেটে নেমে বাংলাকে দুবার রঞ্জি ট্রফির ফাইনালেও তুলেছিলেন তিনি। ডানহাতি ব্যাটসম্যান সঙ্গে ডানহাতি মিডিয়াম পেস বল করতেন চুনী। বাংলার অধিনায়কত্বও সামলেছেন তিনি। ৪৬টি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ম্যাচ খেলে একটি সেঞ্চুরি সহ ১৫৯২ রান করেছেন। সাতটি অর্ধশতরানও রয়েছে তাঁর নামের পাশে। নিয়েছেন ৪৭টি উইকেটও। ১৯৭২-৭৩ মরশুমে ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। চুনী গোস্বামীর সঙ্গে বঙ্গ ক্রিকেটের ড্রেসিংরুম ভাগ করেছেন পলাশ নন্দী। প্রবাদপ্রতিম ক্রীড়াবিদের প্রয়াণে শোকাহত বাংলার প্রাক্তন এই ক্রিকেটার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চুনী গোস্বামীর স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে তিনি বলেন, "চুনীদার মতো মানুষ হয় না। একজন প্রাণবন্ত মানুষকে হারালাম। সব সময় হাসি ঠাট্টায় আমাদের ড্রেসিং রুম মাতিয়ে রাখতেন চুনীদা। ক্রিকেটের ড্রেসিংরুমে কোনওদিন ফুটবলের গল্প করতেন না। ফুটবলের অনেক গল্প জানার চেষ্টা করতাম চুনীদার কাছ থেকে। সবসময় এড়িয়ে যেতেন।"


একটু থেমে পলাশ নন্দী বলেন, "চুনীদা বলতেন, গাভাসকরের ব্যাটিং দেখতে ভালো লাগে। একবার জোরাজুরি করায় চুনীদা বলেছিলেন, আহমেদ খানের মতো ফুটবলার হয়না। উনি আমার দেখা ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ ফুটবলার। অনেক প্রদর্শনী ম্যাচেও খেলেছি চুনীদার সঙ্গে। সমস্ত খেলাকেই অত্যন্ত সিরিয়াস ভাবে নিতেন।"


সেই সঙ্গে অতীতের কথা বলতে গিয়ে বলেন, "আমি বিশেষ করে ফুটবলার চুনী গোস্বামীর ফ্যান। ১৯৬৬ সালে হাওড়া ইউনিয়ন মাঠে বসে চুনীদার হ্যাটট্রিক দেখেছিলাম। ১৯৬৮ সালে রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে দুটো ইনিংসে ৯৬ আর ৮৪ রান করেছিলেন চুনীদা। এরপর চুনীদার ক্যাপ্টেন্সিতে ক্রিকেট খেলি। মোহনবাগানের হয়ে ফুটবলে ডুরান্ড কাপ জেতার পরদিন শহরে এসে সিএবি লিগ ফাইনাল খেলেছিলেন চুনীদা। আমিও তখন মোহনবাগানের হয়ে ক্রিকেট খেলি। বিএনআরএর বিরুদ্ধে ফাইনালে সেঞ্চুরি করেছিলেন চুনীদা। একজন প্রকৃত ক্রীড়াবিদকে হারাল ভারতীয় ক্রীড়ামহল। কেরিয়ারের শুরুর দিকে লেগ স্পিন করতেন। কিন্তু পরের দিকে আবার পেস বোলিংয়ে ইনসুইং-আউটসুইংয়ে ব্যাটসম্যানদের ঘায়েল করতেন চুনীদা।"


আর শেষে বললেন, "চুনীদাকে শেষবারের মতো দেখতে পেলাম না। এই আক্ষেপ থেকে যাবে সারাজীবন..."


আরও পড়ুন - চুনী গোস্বামীর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ তাঁর স্কুল ক্রিকেটের ক্যাপ্টেন সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ