নিজস্ব প্রতিবদেন: টস জিতে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ব্রিটিশ অধিনায়ক জো রুট।  শুরুতে অ্যালিস্টার কুকের উইকেটটা বাদ দিলে শুরুটা একেবারে মন্দ হয়নি তাঁদের। প্রথম সেশনে আধিপত্য বিস্তার করেছিল রুট আর জেনিনিংস জুটি। সামি-উমেশ-ঈশান্ত-হার্দিকদের দেখে দেখে চালাচ্ছেন দুই ব্যাটসম্যান। প্রেস বক্সে ধারা ভাষ্যকাররা বলাবলি করছিলেন, এই উইকেটে একটা বিরাটদের সামনে বিশাল স্কোর খাড়া করার ভিত্তি করে ফেলেছেন অধিনায়ক রুট এবং ওপেনার জেনিনিংস। ম্যাচের চালক আসনে ভারতকে দূর দূর পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। ঠিক এই সময়েই বিরাটদের দূত হয়ে এল এক পায়রা! ওকে সরাতে গিয়েই মনোযোগ ভাঙল জেনিনিংসের। ফয়দা হল ভারতের। রুটের সঙ্গীকে ফেরালেন মহম্মদ সামি। এখান থেকেই বাঁক নেওয়া শুরু এজবাস্টন টেস্টের। 

 


এজবাস্টন টেস্টে তখন প্রথম দিনের খেলা ৩৫ ওভারে গড়িয়েছে। প্রথম স্পেলের পর দ্বিতীয় স্পেলে সামিকে আক্রমণে নিয়ে এসেছেন বিরাট। ওভারের প্রথম ডেলিভারির আগে ওয়ার্ম আপ করছেন ভারতীয় স্পিডস্টার। হঠাত্ সবার নজর এক পায়রার দিকে। জেনিনিংস স্টান্ট নেওয়ার আগে তাঁরও চোখ ওই পায়রার দিকে। এগিয়ে গেলেন। তাঁকে দেখে ব্যাট উঁচিয়ে এগিয়ে এলন রুটও। দু’জনেই চেষ্টা করলেন বটে, পায়রাকে ওড়ানো গেল না। ২২ গজ থেকে পায়রাটি নিজের দূরত্ব বাড়ালেও বসে রইল প্র্যাকটিস পিচেই। খনিকের বিঘ্ন! তারপর খেলা শুরু হলে সামির প্রথম ডেলিভারিতেই প্লে ডাউন হন জেনিনিংস (৪২)। ইংল্যান্ডের অনেকেই ব্রিটিশ ওপেনারের এভাবে আউট হওয়ার পিছনে ওই পায়রার হাত-ই দেখছেন। তখন মনোনিবেশ না ভাঙলে একটা বড় স্কোর করার দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।

 


 

উল্লেখ্য, ওই স্পেলেই মালানের উইকেটও তুলে নেন সামি। যার ফলে ৯৮-১ থেকে ইংল্যান্ড এক ঝটকায় আরও ২ উইকেট হারিয়ে দাঁড়ায় ১১২ রানে ৩। ‘রহস্যজনকভাবে’ ব্রিটিশদের লাগাতার উইকেট পতনের পর আর দেখা যায়নি ওই পায়রাকে।

আরও পড়ুন- ‘... ও যেখানে খুশি মরুক, আমি দেখতেও যাব না’


এরপর রুট-বেয়ারস্টো জুটি ইংল্যান্ডের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যায়। স্কোর পৌঁছয় ২১৬ রানে। তবে বিরাটের অনবদ্য ফিল্ডিংয়ে রুট (৮০) রান আউট হতেই খেলায় ফেরে ভারত। তারপর উমেশের বলে উইকেট দিয়ে ফিরে যান জনি বেয়ারস্টোও (৭০)। যার ফলে খেলার রাশ পুরোপুরিভাবে চলে আসে ভারতের হাতে। প্রথম দিনের শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের রান ২৮৫।