ওয়েব ডেস্ক: "লাঠি বাজি হকি নয়/গুতোগুতি রাগবি নয়/লাঞ্চ, টি খেয়ে সময় কাটানো নয়/এ খেলায় নেই গ্যাঁড়াকল/সব খেলার সেরা বাঙালির তুমি ফুটবল"। ফুটবল নামেই আছে মধু, আর সেই মধু খেতে ভ্রমরদের আনাগোনা শুধু বাঙালি সমাজেই নয়, বিশ্বজুড়ে খেলার জগৎ-এ 'অনলি বস' ফুটবল। এই খেলাই তো স্বাধীনতা আন্দোলনে ভারতের 'ক্ষেপনাস্ত্র' ছিল। খালি পা বনাম 'লোহার বুট'। বাঙালি জিতেছিল সেদিনও, জেতে আজও। শুধু ফারাক, ফুটবল এখন মাঠের বদলে জায়গা নিয়েছে স্মার্ট ফোনে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


পেলে থেকে দিয়েগো মারাদোনা, ফোরলান থেকে লিও মেসি, ফুটবল যাদুকরীরা যাদু দেখান আর ফুটবলপ্রেমীরা যাদুতে মুগ্ধ হন। আর তারপরই ফুটবল নিয়ে মাঠে নেমে পড়া। স্কিল, দূরপাল্লার শট, ফ্রি কিক, দুর্দান্ত সেভ, সবই হচ্ছে। শুধু হচ্ছে না, ফুটবল। ফুটবলের সব হচ্ছে কিন্তু ফুটবল হচ্ছে না! ১০ নম্বর, ৯ নম্বর, ৭ নম্বররা বল দখলের লড়াইয়ে মরিয়া, ভারতও হারিয়ে দিচ্ছে ব্রাজিলকে। মেসি, রোনাল্ডোদের আদলে নিজেই বানিয়ে নেওয়া যাচ্ছে খেলোয়াড়, আর ফুটবল খলেতে হচ্ছে হাতে। আঙুল আর কিছু সুইচ বটনেই কেল্লা ফতে। কম্পিউটার গেমসের রমরমায় হারিয়ে যাওয়া শৈশবের মতই হারিয়ে যাচ্ছে বাঙালির ফুটবল। বিজ্ঞাপন যেমন ফুটবলের বাড়ছে তেমনি কদর বাড়ছে ফুটবল ভিডিও গেমসেরও। হাতিবাগান থেকে গড়িয়াহাঁট, সিটি সেন্টার থেকে মানি স্কোয়ার, কলকাতার টয় শপগুলোতে এখন সব থেকে বিক্রি জয় স্টিকের। হ্যাঁ। ওটা দিয়েই ড্রিভলিং, ওটা দিয়েই বুলেট গতির শট। ফুটবলের কোচ, ফুটবলের তারকা ওই। জয় স্টিকটাই এখন হাত দিয়ে ফুটবল খেলার অস্ত্র।



অবশ্য একথা বলতেই হয়, শুধু ফুটবল নয়, কাউণ্টার স্ট্রাইকের চাহিদাও বেস তুঙ্গে। আর যারা জয় স্টিক দিয়ে 'এনজয়' করতে পারছেন না, তাঁদের কাছে স্মার্ট ফোন থাকলেই যথেষ্ট। ফিফা ১৬ থেকে বিশ্বকাপ কিংবা ইউএফএ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি অ্যাপ ডাউনলোডেই 'হাত ফুটবল' হাতের মুঠোয়।