ওয়েব ডেস্ক: অনড় মার্কেটিং পার্টনার, তার সামনে ক্ষমতাহীন ফেডারেশন, আর দুইয়ের জেরে ক্লাবগুলোর অসহায় অবস্থা। ঝটিকা সফরে কলকাতায় এসে ক্লাবগুলোর সঙ্গে গোপন বৈঠকে ভারতীয় ফুটবলের এই করুণ ছবিটা পরিস্কার করে দিয়ে গেলেন ফেডারেশন সচিব কুশল দাস। পরিস্কার জানিয়ে দিলেন ক্লাবগুলোর তরফ থেকে তোলা দাবি বা ফেডারেশন সভাপতির দেওয়া প্রস্তাব কোনওটাই মানেনি মার্কেটিং পার্টনার আইএমজিআর। তাই তাদের ইচ্ছেতেই ইন্ডিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ করার যে প্রস্তাব প্রফুল প্যাটেল দিয়েছিলেন তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। বদলে নামকাওয়াস্তে একটা নক আউট টুর্নামেন্ট হবে কোনও একটা নির্দিষ্ট কেন্দ্রে। কিন্তু সেখান থেকে এএফসিতে ভারতের প্রতিনিধি ঠিক হবে না।  আইএমজিআরের নির্দেশ মতো আইএসএলের চ্যাম্পিয়ন দল খেলবে এএফসি কাপে। আর আই লিগের চ্যাম্পিয়ন দল খেলবে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আই লিগ ও আইএসএল দুটি টুর্নামেন্টই একই সম্প্রচারকারী সংস্থা সম্প্রচার করলেও দুটো টুর্নামেন্টে সম্প্রচার সমান মানের হওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। আই লিগের মার্কেটিংয়ের জন্য বাড়তি একটা টাকাও খরচ করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে ফেডারেশনের মার্কেটিং পার্টনার। তাই ক্লাবদের যাবতীয় বিদ্রোহ শেষ। উল্টো চাপের মুখে মাথা নিচু করে আই লিগে খেলাই তাদের ভবিতব্য। এই বৈঠককে গোপন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সব পক্ষই। তাই বৈঠক সেরে বেড়িয়ে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল বা আইএফএ-র প্রতিনিধি সবারই সুর নরম।



ক্লাবরা এখন নিজেদের সান্তনা দিতে চাইছেন এই ব্যবস্থা শুধু এ বছরের জন্য এটা ভেবে। ভবিষ্যতে দুই লিগ মিলে যাবে বলে তারা আশাবাদী। কিন্তু বাস্তব ঘটনা হচ্ছে ফেডারেশনের মার্কেটিং পার্টনারের অনড় অবস্থান এবং তার সামনে প্রফুল প্যাটেল অ্যান্ড কম্পানির নখ দাঁতহীন অবস্থার জন্য অদুর ভবিষ্যতেও দুই লিগের মিলে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। তারপরেও মোহনবাগান বা ইস্টবেঙ্গলকে আইএসএলে খেলতে গেলে ঢুকতে হবে ফ্রাঞ্চাইজি ফি দিয়েই। হ্যাঁ সেটাও ফেডারেশনের মার্কেটিং পার্টনারের দেওয়া যাবতীয় শর্ত মেনেই। (আরও পড়ুন- ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে কেন বিশ্রাম দেওয়া হল রোহিতকে? উত্তর দিলেন বিরাট )