পঞ্জাব কিংস ২২১/৬
রাজস্থান রয়্যালস ২১৭/৭
পঞ্জাব জয়ী ৪ রানে


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রথমে ব্যাট করে যদি কোনও দল স্কোরবোর্ডে ২০০-র বেশি রান করে ফেলে, তাহলে সামান্য হলেও টি-২০ ফর্ম্যাটে সেই দল অ্যাডভান্টেজে থাকে। সোমবার ঠিক সেটাই হল পঞ্জাব কিংসের জন্য় (PBKS)। তাদের ২২১ রানের জবাবে দুরন্ত লড়ে ২১৭ তুলল রাজস্থান। আরও একটি রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ দেখল আইপিএল। 


এদিন মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়েতে আইপিএল (IPL 2021) অভিযান শুরু করল রাজস্থান রয়্যালস (RR) ও পঞ্জাব কিংস (RR vs PBKS)। সোমবার টস জিতে সঞ্জু স্যামসন (Sanju Samson) ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান কেএল রাহুলের (KL Rahul)পঞ্জাব কিংসকে (PBKS)। রাহুল ও ময়াঙ্ক আগরওয়াল (Mayank Agarwal) পঞ্জাবের হয়ে ইনিংস ওপেন করেন। কিন্তু শুরুতেই পঞ্জাবকে ধাক্কা দেয় রাজস্থান। ১৪ রান করে ফিরে যান ময়াঙ্ক। এরপর রাহুল পাশে পান ক্যারিবিয়ান দৈত্য ক্রিস গেইলকে (Chris Gayle)। দু'জনে জুটি বেঁধে ৬৭ রান যোগ করেন স্কোরবোর্ডে। ২৮ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলে বিনোদন দিয়ে যান গেইল। টি-২০ ক্রিকেটের রাজা এদিন ৪টি চার ও ২টি ৬ হাঁকালেন। রিয়ান পরাগের শিকার হন গেইল। স্টোকসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। গেইল ফেরার পর দীপক হুডা (Deepak Hooda) আসেন রাহুলের হাত শক্ত করতে। মাঠে নেমেই হুডা মারকাটারি মেজাজে ব্যাটিং শুরু করে দেন তিনি। একেবারে আদর্শ টি-২০ ক্রিকেট খেলেন বছর পঁচিশের অলরাউন্ডার। ২৮ বলে চোখ ধাঁধানো ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন হুডা। ৪টি চার ও ৫টি ছয় মারলেন তিনি। হুডাও শিকার হলেন মরিসের। পরাগের হাতে জমা পড়ে গেলেন তিনি। রাহুলের সঙ্গে ৪৭ বল খেলে ১০৫ রান যোগ করে দিয়ে গেলেন স্কোরবোর্ডে। প্রায় শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক রাহুল ক্রিজ কামড়ে থাকলেন। ৫০ বলে অনবদ্য ৯১ রানের ইনিংস খেলেলন তিনি। ৭টি চার ও ৫টি ৬ এল রাহুলের হাত থেকে। তাঁর ব্যাটে ভর করেই পঞ্জাব ৬ উইকেট হারিয়ে তোলে ২২১।


পাহাড় প্রমাণ টার্গেট মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নামেন বেন স্টোকস (Ben Stokes) ও মনন ভোহরা। বিশ্বকাপ জয়ী ব্রিটিশ তারকা অলরাউন্ডার স্টোকস। মাত্র তিন বল ফেস করলেন তিনি। তৃতীয় বলেই মহম্মদ শামির বলে তাঁর হাতেই তুলে দিলেন ক্য়াচ। একটি রান না করেই স্টোকস ফিরলেন। ভোহরাকে ভরসা দিতে তিনে নামেন অধিনায়ক সঞ্জু। কিন্তু মননের ভাগ্য়ের পরিণতিও হল ওপেনিং পার্টনার স্টোকসের মতো। তিনি অর্শদীপ সিংয়ের বলে তাঁর হাতেই ক্যাচ তুলে দিলেন। যদিও ভোহরাকে ডাক হতে হয়নি। তিনি ১২টি রান করলেন। চার ওভারের মধ্যে ২ উইকেট চলে গিয়ে চাপ বাড়ে রাজস্থানের। অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলার প্রত্যয় নিয়েই ক্রিজে পড়ে থাকেন সঞ্জু। জস বাটলার (১৩ বলে ২৫), শিবম দুবেদের (১৫ বলে ২৩) গেস্ট অ্যাপিয়ারেন্স রাজস্থানকে করুণ নিয়তির দিকেই ঠেলে নিয়ে যেতে থাকে। রিয়ান পরাগ এসে রাজস্থানের নিভতে থাকা প্রদীপকে জ্বালিয়ে রাখার মরিয়া চেষ্টা করেন। ১১ বলে ঝোড়ো ২৫ রান করে যান অসমের ক্রিকেটার। ৩টি ৬ ও ১টি ৪ মারেন তিনি। শেষ তিন ওভারে রাজস্থানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৪০ রান। সঞ্জু ফিফথ গিয়ারে নিয়ে যান নিজের ব্যাটিং। করে ফেলেন দুরন্ত সেঞ্চুরিও। শেষ ১২ বলে ২১ রানের টার্গেটে নিয়ে যান তিনি। বল আর রানের ব্য়বধান কমাতে থাকেন তিনি। জয়ের জন্য ৬ বলে ১৩ রানের লক্ষ্যমাত্রায় নিয়ে যান তিনি। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। ৬৩ বলে অসাধারণ ১১৯ (১২টি ৪ ও ৭টি ৬) রানের ইনিংস খেলে ট্র্যাজিক নায়ক হয়ে থাকলেন সঞ্জু।