নিজস্ব প্রতিবেদন- বিসিসিআই সভাপতি পদে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সৌরভ বলে এসেছেন তাঁর কাছে ক্রিকেটারদের স্বার্থরক্ষা সবার আগে। ক্রিকেটারদের যাতে কোনভাবেই সমস্যায় পড়তে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন বলেছিলেন সৌরভ। কিন্তু কথা রাখতে পারলেন না বিসিসিআই সভাপতি। তার কারণ অবশ্যই করোনা সংক্রমণ ও লকডাউন। যার জেরে বিসিসিআই এখনো ঘরোয়া ক্রিকেটারদের প্রাপ্য অর্থ মেটাতে পারেনি। রঞ্জি ট্রফি, মুস্তাক আলি ট্রফি খেলার পরও এখনো অনেক ক্রিকেটার নিজেদের প্রাপ্য পারিশ্রমিক পাননি। লকডাউনের মাঝে এমনিতেই আর্থিক সমস্যায় রয়েছেন ক্রিকেটাররা। তার মধ্যে বকেয়া পারিশ্রমিক না পাওয়ায় মহাসমস্যায় পড়েছেন ক্রিকেটাররা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রঞ্জি ট্রফি খেলা ক্রিকেটাররা একদিনে ৩৫ হজার টাকা করে পান। এদিকে মুস্তাক আলি ট্রফির ম্যাচ প্রতি সাড়ে ১৭ হাজার টাকা করে পান ক্রিকেটাররা। রনজির গোটা মরশুম খেলে ১৩ লাখ টাকা আয় হওয়ার কথা ক্রিকেটারদের। কিন্তু এবার অনেক ক্রিকেটারই সেই প্রাপ্য অর্থ হাতে পাননি এখনও। মহারাষ্ট্র, বাংলা, ত্রিপুরার ক্রিকেটাররা এখনো হাতে পাননি প্রাপ্য পারিশ্রমিক। মহারাষ্ট্রের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আবার আলাদা। বিসিসিআই নাকি তাদের কোনো অর্থই দিচ্ছে না এবং তার জন্য কোন কারণ দেখানো হচ্ছে না। 


ম্যাচ ফি ছাড়াও বিসিসিআইয়ের লাভের অংশের ভাগ পাওয়ার কথা রয়েছে ক্রিকেটারদের। কিন্তু গত তিন মরশুম ধরে সেটাও পাচ্ছেন না ক্রিকেটাররা। এমনিতেই লকডাউনে আর্থিক সমস্যা চলছে ঘরোয়া ক্রিকেটারদের। তার মধ্যে এবার আইপিএল হওয়ার কোনও নিশ্চয়তা নেই। আইপিএল হলেও অনেক ঘরোয়া ক্রিকেটার সেখানে খেলেন না। একমাত্র ঘরোয়া ম্যাচের উপর নির্ভর করে তাদের জীবন চলে। কিন্তু বিসিসিআই প্রাপ্য না দেওয়ায় তাঁরা পড়েছেন বিপদে। 


আরও পড়ুনশেহবাগের বাড়িতে হামলা, ভিডিও প্রকাশ করে সতর্ক করলেন বীরু


বিসিসিআই-এর কোষাধ্যক্ষ অরুন ধামাল বলেছেন, টেকনিক্যাল সমস্যার জন্য এমন হয়েছে। হয়তো কোনও রাজ্য সংস্থার তরফ এখনো বিসিসিআইয়ের কাছে ইনভয়েস পাঠানো হয়নি। ইনভয়েস পেলেও তার সত্যতা যাচাই করা হয়ে ওঠেনি লকডাউনের জেরে। তাই অর্থ দিতে দেরি হচ্ছে। রনজি চ্যাম্পিয়ন হওয়া সৌরাষ্ট্র ও রানার্স বাংলাকে ইতিমধ্যে পুরস্কারের অর্থ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।