নিজস্ব প্রতিবেদন- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সারা বিশ্বে খেলাধুলা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেই সময়ও রনজি ট্রফি চালু ছিল। দেশভাগ, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, ছোট-বড় রাজনৈতিক সংঘাত- কোনও কিছুই রনজি ট্রফি বন্ধ রাখতে পারেনি।। গত ৮৬ বছরে ভারতীয় ক্রিকেটে যেটা হয়নি এবার কিন্তু সেটাই হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। চলতি মরশুমে রনজি ট্রফির আকাশে ঘন কালো মেঘ। গত তিন-চার দিনে লাফিয়ে বেড়েছে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। প্রায় প্রতিদিনই সংখ্যাটা ৯৫ হাজার বা তার বেশি ছিল। এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে দেশে কী করে রনজি ট্রফি আয়োজন করা যায়, তার পথ খুঁজে পাচ্ছে না বিসিসিআই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রনজি ট্রফি তো আর আইপিএল নয়। রনজি দেশের বাইরে আয়োজন করা সম্ভব নয়। কোটি টাকার স্পনসর আনা সম্ভব নয়। ক্রিকেটারদের চার্টার্ড ফ্লাইটে করে শহরে শহরে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবা মানে অলীক কল্পনা। তা হলে! যুগ যুগ ধরে ভারতীয় ক্রিকেটে ভাল ক্রিকেটার তুলে আনার মঞ্চ এখন গভীর অন্ধকারে। এমনিতেও রনজি ট্রফির সেই জৌলুস নেই। ক্রিকেটার, কাক-পাখি, আম্পায়ার, মাঠকর্মী আর জনাকয়েক সাংবাদিক ও দর্শক ছাড়া কাউকে রনজি ম্যাচের সময় মাঠে পাওয়া যায় না। ঢাক-ঢোল পিটিয়ে রনজি ট্রফির প্রচার হয় না। একমাত্র সেমিফাইনাল বা ফাইনালের আগে একটু আলো পড়ে। না হলে ফল্গু ধারার মতো আস্ত একটা টুর্নামেন্ট বয়ে চলে। সবার নজরের আড়ালে। কিন্তু এবার হয়তো সেটাও হবে না।


আরও পড়ুন-  IPL 2020: উইকেট ভেঙে দুটুকরো! জোরে বোলিং কাকে বলে দেখালেন মু্ম্বইয়ের পেসার


৩৮ দলের টুর্নামেন্টে। প্রতিটি দলে ২০ জন করে ধরলেও মোট ক্রিকেটারের সংখ্যা হবে ৭৬০ জন। সেইসঙ্গে আম্পায়ার, ব্রডকাস্টার মিলিয়ে আরও অনেক লোকই থাকবেন। এতজন ক্রিকেটারের জন্য বায়ো বাবল সুরক্ষা বলয়ের আয়োজন করা কার্যত অসম্ভব বলে ধরছে বিসিসিআই। আইপিএলে আটটি দল। তাও ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ মিলিয়ে মোট ১২০০ জন পা রেখেছেন আরবে। সেখানে কিন্তু বায়ো বাবল সুরক্ষা বলয়ের আয়োজন করা গিয়েছে ভালভাবে। এবার রনজি যদি একটা বা দুটো শহরে আয়োজন করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা করছেন বিসিসিআই কর্তারা। তবে সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। করোনার জন্য এবার আইপিএল দেশের বাইরে পাঠিয়ে আয়োজন করা গেলেও ঘরোয়া ক্রিকেটের ভবিষ্যত্ অন্ধকার। বোর্ড কর্তারা মরশুমে অন্তত একটি করে পুরুষ ও মেয়েদের টুর্নামেন্ট আয়োজনের কথা ভাবতে শুরু করেছেন। সেরকম হলে দলীপ ট্রফি, সিকে নাইডু, মুস্তাক আলির মতো টুর্নামেন্টগুলির কী হবে! উত্তর কারও কাছে নেই।