Ranji Trophy: শেষ বেলার থ্রিলারে চণ্ডীগড়কে হারিয়ে জয়ের হ্যাটট্রিক, নক আউটে বাংলা
তিনে তিন করল বাংলা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বরোদা ও হায়দরাবাদের মতো এ বারও সেই শেষ দিনে হল ফয়সলা। তবে এ বার শুধু শেষ দিন নয়, চলতি রঞ্জি ট্রফিতে জয়ের হ্যাটট্রিক করতে একেবারে শেষবেলা পর্যন্ত বঙ্গব্রিগেডকে অপেক্ষা করতে হল। অবশেষে ৯৬.২ ওভারে ঈশান পোড়েলের বলে জগজিত সিং সান্ধু ফিরতেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ ও হেড কোচ অরুণ লাল। গত দুই ম্যাচ থেকে ১২ পয়েন্ট নেওয়ার সুবাদে নক-আউটের খুব কাছে চলে এসেছিল দল। এ বার বিপক্ষকে ২৬০ রানে অল আউট করে ১৫২ রানে জয়ের সুবাদে নক আউট পর্বে পৌঁছে গেল বাংলা।
পরপর তিন ম্যাচে জেতার জন্য মরিয়া ভাব দেখাল দলের বোলিং লাইন আপ। ব্যাটাররা ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি। যদিও এই দলের সবাইকে নিয়ে গর্বিত অরুণ লাল। জয়ের পর হেড কোচ বলেন, "আমাদের এই দল দুর্দান্ত। দারুণ চারিত্রিক দৃঢ়তা দেখিয়েছে। সেই সঙ্গে দক্ষতা ও ফিটনেসের মেলবন্ধনে দুর্দান্ত ক্রিকেট উপহার দিয়েছে। এই ম্যাচ আমাদের কাছে মরণ-বাঁচন ছিল না। কিন্তু তারপরেও ছেলেরা নিজেদের সেরাটা দিয়েছে। গ্রুপের শীর্ষে থেকে পরের রাউন্ডে যেতে পারলাম বলে খুশি।" এরপর তিনি বোলারদের প্রশংসা করে বলেন, "বোলাররা নিজেদের জন্য খুব উঁচু এক মাপকাঠি তৈরি করেছে। ওরা আমাদের ভরসা। ব্যাটিংও খুব ভাল হয়েছে এই ম্যাচে। তিনজন সেঞ্চুরি বা সেঞ্চুরির কাছাকাছি রান করেছে। আট নম্বরে নেমেও ৯৭ রানে অপরাজিত থেকেছে।"
৪১৩ রান তাড়া করতে নেমে দিনের শেষে ১৪ রানে ২ উইকেট হারিয়েছে চণ্ডীগড়। বিপক্ষের ব্যাটিংয়ের যা অবস্থা তাতে শেষ দিন ৩৯৯ রান তাড়া করে জয় ছিনিয়ে নেওয়া কার্যত অসম্ভব। বরং ফর্মে থাকা বাংলার বোলারদের বাকি আট উইকেট তুলে নেওয়া অনেক সহজ। গত দুই ম্যাচের মতো এ বারও শেষ দিন চাপ বজায় রাখতে পারলে চলতি রঞ্জি ট্রফিতে বাংলার জয়ের হ্যাটট্রিক করা সময়ের অপেক্ষা। তবে দলের অন্যতম সিনিয়র ব্যাটার অনুষ্টুপ মজুমদার কিন্তু কঠিন লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কারণ বিপক্ষ যেমন সহজে হাল ছাড়বে না, তেমনই বাইশ গজ ক্রমশ স্লো হয়ে আসছে।
এরপরের লক্ষ্য নক আউট। তবে বরোদার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ না জিতলে সব হিসেব বদলে যেত। কলকাতা ফিরে আসার আগে সেটা জানিয়ে দিলেন দলের কোচ সৌরাশিস লাহিড়ী। তিনি বলেন, "আমাদের একাত্মবোধের জন্য জয়ের হ্যাটট্রিক করলাম। তবে বরোদার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে জয় না পেলে সব হিসবে উল্টে যেত। কারণ এ বারের ফরম্যাটে প্রথম ম্যাচে জয় খুব জরুরি ছিল।"
জয়ের জন্য দরকার ছিল আটটা ভাল বল। কিন্তু সেই লক্ষ্যে ঈশান পোড়েল, মুকেশ কুমারদের যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। লড়াই ছাড়েনি চণ্ডীগড়ও। হারলেও দারুণ করলেন অধিনায়ক মনন ভোরা (৪০ রান), অমৃত লুবানা (৫৭ রান), যশকরণ সিং (অপরাজিত ৬০ রান), শ্রেষ্ঠ নির্মোহীরা (২৯ রান)। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।
ঈশান পোড়েল দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৭ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। মুকেশ ৫০ রানে ২ ও ও নীলকণ্ঠ দাস ৭২ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন সায়নশেখর মণ্ডল, শাহবাজ আহমেদ ও অনুষ্টুপ।
আরও পড়ুন: Shane Warne Passes Away: তোয়ালেতেও রক্তের দাগ! ওয়ার্নির মৃত্যু নিয়ে বড় আপডেট দিল থাইল্যান্ড পুলিস