Ranji Trophy: ১৮৬ রানে থামলেন সুদীপ, কোয়ার্টারে এগিয়ে বাংলা
যখন সবাই ধরেই নিয়েছিল দ্বিশতরান নিশ্চিত তখনই বিনা মেঘে বজ্রপাত। ঝাড়খন্ডের রাহুল শুক্লার বলে ক্যাচ আউট হয়ে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন তিনি। ফেরার সময় তাঁর নামের পাশে ১৮৬ রান।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পারলেন না সুদীপ ঘরামি। রঞ্জি কোয়ার্টারে অসাধারণ ব্যাট করলেন তিনি। কিন্তু যখন সবাই ধরেই নিয়েছিল দ্বিশতরান নিশ্চিত তখনই বিনা মেঘে বজ্রপাত। ঝাড়খন্ডের রাহুল শুক্লার বলে ক্যাচ আউট হয়ে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন তিনি। ফেরার সময় তাঁর নামের পাশে ১৮৬ রান। দ্বিশতরান থেকে ১৪ রান দূরেই থেমে যেতে হল তাকে।
তবে সুদীপ বাংলাকে রঞ্জির সেমিফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে দিলেন বলাই যায়। ঝাড়খন্ডের বিরুদ্ধে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলা। ওপেনিং জুটিতে বড় রানের ইঙ্গিত দেয় অভিষেক রামন ও অভিমন্যু ঈশ্বরণের পার্টনারশিপ। ৪১ রানের মাথায় রামন আহত হয়ে মাঠ ছাড়লে মাঠে নামেন সুদীপ। তারপর থেকেই খেলেছেন নিখুঁত ইনিংস।
সোমবার যখন শতরান পূর্ণ করেন তিনি নৈহাটিতে আনন্দে ভাসছিল তাঁর পরিবার। শুধু পরিবারই নয়, গোটা পাড়াও তাদের ‘ঘরের ছেলে’ সুদীপকে নিয়ে আনন্দে মাতোয়ারা। ছোটবেলা থেকেই দারিদ্র্য নিত্যসঙ্গী সুদীপের। কিন্তু বাবার চেষ্টাতেই ক্রিকেটার হওয়া। তিন নম্বরে সুদীপের চওড়া ব্যাট পরের ম্যাচগুলিতেও ভরসা যোগাবে বাংলাকে। প্রথম দিনেই ১০৬ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ৮৫ রানে ক্রিজে ছিলেন বাংলার বহু যুদ্ধের নায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার। ১১৭ করে দ্বিতীয় দিনে অনুষ্টুপ আউট হয়ে গেলেও নিজের লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন সুদীপ। ২১টি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে করলেন ১৮৬।
সুদীপ ভবিষ্যতে ভারতের হয়ে খেলবেন কিনা তা সময়ই বলবে, তবে তিনি যে আগামীদিনে বাংলার সম্পদ হয়ে উঠবেন তা বলাই যায়। যে রকম ধৈর্য্য ও মনোসংযোগ তিনি দেখিয়েছেন তা তিন নম্বরের ব্যাটসম্যানের একেবারে আদর্শ ঘরানা। সিএবির সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে রঞ্জি কোয়ার্টারে খেলছেন না ঋদ্ধিমান সাহা। তাঁর না থাকা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন বহু প্রাক্তনরা। তবে অন্যান্যদের সঙ্গে সুদীপের ব্যাট নিশ্চিতভাবেই আশ্বস্ত করবে বাংলার ক্রিকেট ভক্তদের।
আরও পড়ুন, AFC Asian Cup Qualifiers: কলকাতায় খেলতে মুখিয়ে Sunil Chhetri