নিজস্ব প্রতিবেদন : এম এস ধোনি তো বারবার বলে এসেছেন, রবীন্দ্র জাদেজা সব পারেন। চেন্নাই শিবিরে তো সেই কবে থেকে তিনি খ্যাত স্যর জাদেজা নামে। কেন তাঁকে স্যর উপাধি দেওয়া হয়েছে তার ব্যাখ্যাও বহুবার ধোনি দিয়েছেন। কখনও তিনি বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়িয়ে হাত উঁচিয়ে অবধারিত ছক্কা বাঁচিয়ে দেন। কখনও হাফ ক্রিজ থেকে ডাইভ মেরে রান-আউটের হাত থেকে বাঁচেন। এমন এমন কাজ করেন, সাদা চোখে যা দেখে অসম্ভব বলে মনে হতে পারে। কিন্তু রবীন্দ্র জাদেজা এসব কাজ করেন স্বাভাবিক ভঙ্গিমায়। তিনি ক্রিকেটার, নাকি ম্যাজিশিয়ান, নাকি পূর্ণাঙ্গ অ্যাথলিট, দ্বন্দ্বে পড়ে যেতে পারেন মাঝে-মধ্যে!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  বাঙালিহীন কলকাতা নাকি 'দাদা'র দিল্লি! সমর্থনের আশায় ভিডিয়ো বার্তা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের



রাজস্থানের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য শেষ ওভারে চেন্নাইয়ের প্রয়োজন ছিল ১৮ রান। শেষ ওভার। তার উপর এতগুলো রান। চাপ তাই দ্বিগুণ। নন-স্ট্রাইকিং এন্ডে তখনও ধোনি রয়েছেন। বেন স্টোকসের ওভারের প্রথম বলে জাদেজা শট খেলত গিয়ে মাটিতে পড়ে গেলেন। তবু ছক্কা হল। অফ-স্ট্যাম্পের কিছুটা বাইরে ফুল লেন্থ ডেলিভারি করেছিলেন স্টোকস। পা বাড়িয়ে সেই বলের কাছাকাছি পৌঁছতে গিয়ে শরীরের ভারসাম্য হারিয়েছিলেন জাদেজা। অন্য কোনও ব্যাটসম্যান হলে হয়তো মাটিতে পড়ে বলের লাইন মিস করতেন। কিন্তু তিনি স্যর জাদেজা। পড়ে গিয়েও ব্যাটে-বলে করলেন। আর তাঁর অদ্ভুত শটে বল গিয়ে পড়ল বাউন্ডারি লাইনের ওপারে।


আরও পড়ুন-  এটা নো-বল নয়? মাঠে ঢুকে আম্পায়ারকে শাসিয়ে ফ্যাসাদে ধোনি



শেষ ওভারের প্রথম বলটা করতে গিয়ে স্টোকসও পা হড়কে পড়ে গিয়েছিলেন। জাদেজা ও স্টোকস, দুজনেই মাটিত শুয়ে বলের গতিবিধি হা করে দেখলেন। বল বাউন্ডারি লাইন পেরনোর পরই জাদেজার কাছে এগিয়ে এলেন ধোনি। তার পর আহ্লাদে বুঝিয়ে দিলেন, জাদেজার স্যর উপাধি কেন প্রাপ্য! ক্যাপ্টেনের মশকরায় ততক্ষণে জাদেজাও লজ্জায় লাল। আর অদ্ভুত চাউনিতে শটের গভীরতা মাপতে থাকলেন বেন স্টোকস। অবাক হওয়া ছাড়া তখন আর তাঁর কী বা করার ছিল!