নিজস্ব প্রতিনিধি: এই মুহূর্তে ভারতীয় দলের তিনি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কোনও ফর্ম্যাটেই তিনি দলের রত্ন। ব্যাটিং-বোলিং এবং ফিল্ডিং এই তিনের মিশেলে রবীন্দ্র জাদেজা আর বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। বিরাট কোহলির দলের অন্যতম সেরা যোদ্ধা। কিন্তু কয়েক বছর আগেও জাদেজা ভারতীয় দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন না। প্রথম একাদশে তাঁর জায়গা ছিল রীতিমতো অনিশ্চিত। ২০১৭-১৮ সালে জাদেজা রীতিমতো নিদ্রাহীন রাত কাটিয়েছেন নিজের ভবিষ্যতের দুশ্চিন্তায়। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলছেন জাড্ডু।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আর কয়েক দিনের মধ্যে টিম ইন্ডিয়া দীর্ঘ ইংল্যান্ড সফরে উড়ে যাবে। ভারত প্রথমে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলবে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে। তারপর ইংরেজদের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে। জাদেজা দেশ ছাড়ার আগে সাক্ষাৎকারে বলেন, “সত্যি বলতে এক-দেড় বছর আমি নিদ্রাহীন রাত কাটিয়েছি। সেই সময় আমি ভোর চারটে-পাঁচটা নাগাদ উঠে পড়তাম। আমি ভাবতাম কী করব, কীভাবে আমার ঘুরে দাঁড়াব। আমি ঘুমাতে পারতাম না। আমি শুয়ে থাকলেও জেগেই থাকতাম। আমি টেস্ট দলে ছিলাম। বিদেশে প্রচুর খেলা হলেও আমি খেলার সুযোগ পেতাম না। আমি ওয়ানডেও খেলিনি, এমনকী ঘরোয়া ক্রিকেটও। শুধু দলের সঙ্গেই ঘুরেছি। কিন্তু নিজেকে প্রমাণ করার কোনও সুযোগ পাইনি। আমি শুধু ভাবতাম কীভাবে প্রত্যাবর্চতন করব দলে!"


আরও পড়ুন: গতির খেলায় মৃত্যু! মাত্র ১৯ বছরেই জীবনের ট্র্যাকচ্যুত Jason Dupasquier


জাদেজা এও জানালেন যে ২০১৮ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁকে সোনায় বাঁধানো ইনিংস খেলার পর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ওটাই ছিল তাঁর কেরিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া টেস্ট। সেবার ভারত ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছিল। কেনিংটন ওভালে ভারত পঞ্চম টেস্টে ১৬০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল। জাদেজা নেমে ১৫৬ বলে ৮৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। জাদেজার ব্যাটেই ভারত ইংল্যান্ডের ৩৩২ রান তাড়া করেছিল। যদিও ভারতকে ম্যাচটা ১১৮ রানে হারতে হয়েছিল। কিন্তু জাদেজাকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি এরপর থেকে। 


ওই টেস্টের পর ৫১টি টেস্ট, ১৬৮টি ওয়ানডে ও দেশের হয়ে ৫০টি টি-২০ ম্যাচ খেলে ফেলেন। ২০১৮ সালের ওভাল টেস্টের প্রসঙ্গে জাদেজা বলেন, “ওই টেস্টই আমাকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছিল। আমার পারফরম্যান্স, আত্মবিশ্বাস সবকিছু বদলে গিয়েছিল। ইংল্যান্ডের পরিবেশে সেরা বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে খেললে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায় এমনিই। বুঝিয়ে দেয় যে ব্যাটসম্যানের টেকনিক যথেষ্ট ভাল আছে যে, বিশ্বের যে কোনও জায়গায় সে রান করতে পারবে। এরপর হার্দিক পাণ্ডিয়া চোট পাওয়ায় আমি ওয়ানডে দলে প্রত্যাবর্তন করি। টাচউড, এরপর থেকে আমার ভালই চলছে সব।" জাদেজা আসন্ন ইংল্যান্ড সফরেও ভাল ফল করার ব্যাপারে আশাবাদী।