Rishabh Pant Car Accident: চোখের পলকে গতি 100kmph ছুঁয়ে ফেলে! কোন গাড়ি চালাচ্ছিলেন ঋষভ?
Rishabh Pant Car Accident: সাধারণ কোনও গাড়ি নয়, ঋষভ পন্থ চালাচ্ছিলেন প্রায় কোটি টাকা দামের মার্সিডিজ বেঞ্জের ইমপোর্টেড গাড়ি। যে গাড়ির ফিচার্স চোখ ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো। দেখে নিন ঋষভ কোন গাড়ি চালাচ্ছিলেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারতীয় দলের স্টার ক্রিকেটার ঋষভ পন্থ (Rishabh Pant) মর্মান্তিক গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছেন। যাকে বলে একেবারে 'ন্যারো এসকেপ'! শুক্রবার ভোর রাতে টিম ইন্ডিয়ার তারকা উইকেটকিপার-ব্যাটার নিজেই গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। প্রবল গতিতে তাঁর গাড়ি এসে ধাক্কা মারে ডিভাইডারে। এরপরেই ঋষভের গাড়িতে আগুন ধরে যায়। ঋষভ নিজেই গাড়ির উইন্ডস্ক্রিন ভেঙে বেরিয়ে আসেন। যদি না বেরিয়ে আসতে পারতেন, তাহলে আরও মারাত্মক কিছুই ঘটে যেতে পারত। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ঋষভ এখন দেহরাদুনের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব নিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার।এখন প্রশ্ন ঋষভ কোন গাড়ি চালাচ্ছিলেন? সেই গাড়ির কী কী বৈশিষ্ট্য? রইল গাড়ির যাবতীয় তথ্য।
ঋষভ চালাচ্ছিলেন Mercedes-AMG GLE 43 4MATIC Coupe গাড়িটি। ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ভারতে গাড়িটি বিক্রি হয়েছে। এক কোটি টাকার কিছু কমেই পাওয়া যেত অত্যন্ত শক্তিশালী এই গাড়ি। এখন মার্সিডিজ এই মডেল বদলে নতুন মডেল এনেছে।
এসইউভি-কুপ হাইব্রিড মডেলের এই গাড়ি তিন লিটার ভি সিক্স বাইটার্বো ইঞ্জিন দ্বারা চালিত। নাইন-স্পিড অটো গিয়ারবক্স রয়েছে। এই পেট্রোল ইঞ্জিন ৩৬২ বিএইচপির ও ৫২০এনএম টর্ক বিশিষ্ট।
আরও পড়ুন: Rishabh Pant: হাসপাতালে ঋষভ, প্রার্থনায় 'প্রেয়সী' ঊর্বশী
মাত্র ৫.৭ সেকেন্ডে এই গাড়ি ০-১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় গতি স্পর্শ করে ফেলে। স্বয়ংক্রিয় ভাবে সর্বোচ্চ গতিবেগ ২৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় বাঁধা।
এই গাড়িটি কিন্তু ভারতে তৈরিও হয়নি এমনকী অ্যাসেম্বলডও হয়নি। গাড়িটি একেবারে তৈরি হয়েই এসেছে বিদেশ থেকে।
নিরাপত্তার প্রশ্নে মার্সিডিজ বাকিদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে। এই মার্সিডিজে সাতটি এয়ারব্যাগ, ট্র্যাকশন কন্ট্রোল ও অল-হুইল ড্রাইভ রয়েছে।
আরও পড়ুন: Rishabh Pant Car Accident: দাউ দাউ করে জ্বলছে গাড়ি, পন্থের দুর্ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল
মনে করা হচ্ছে ঋষভ গাড়ি চালাতে চালাতে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ঋষভের চোখের উপর, হাঁটুতে ও পিঠে চোট রয়েছে। দুর্ঘটনার পর গাড়িটি আগুনে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। গাড়িটির এখন তদন্ত হবে। দেখা হবে যে আদৌ গাড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থা কাজ করেছিল কিনা!