নিজস্ব প্রতিনিধি : চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের পর এই প্রথম তিনি মাঠে নামলেন। তাও আবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে। ফলে পর্তুগাল বনাম আলজেরিয়া ম্যাচ নিয়ে যত না উত্সাহ ছিল, তার থেকে অনেক বেশি উত্তেজনা ছিল রোনাল্ডোর জন্য। বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগে পর্তুগালের হয়ে ১৫০তম ম্যাচে নামলেন সিআরসেভেন। গোল পেলেন না বটে। তবে রোনাল্ডো নামটার সঙ্গে অবিচারও করলেন না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  ব্রাজিল এখনও দল হয়ে উঠতে পারেনি, মত পেলের


ফ্রেন্ডলি ম্যাচে আলজেরিয়াকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিল পর্তুগাল। প্রথম ও শেষ গোলটা করলেন ২১ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড গঞ্জালো গুয়েদেস। ব্রুনো ফার্নান্দেসের দ্বিতীয় গোলে রোনাল্ডোর অবদান থাকল। রোনাল্ডোর দারুন একটা ক্রস থেকেই মাথা ছুঁইয়ে বল জালে জড়ালেন ব্রুনো। কিন্তু এত কিছুর পরও আলোচনার কেন্দ্রে রোনাল্ডো বা পর্তুগাল থাকল না। অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল আলজেরিয়ার বিরুদ্ধে পর্তুগাল না জিতলেই বরং অবাক কাণ্ড হত। তবে আসল আর্কষণ তোলা ছিল ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের পরের জন্য। কয়েক মিনিটে যাবতীয় আলোচনা, আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে উঠল জুনিয়র রোনাল্ডো।


আরও পড়ুন-  "পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষই চান আমি যেন বিশ্বকাপটা হাতে তুলি"


ফ্রেন্ডলি ম্যাচ শেষে বাবার মতোই সাত নম্বর জার্সি পড়ে মাঠে নেমে পড়ল জুনিয়র রোনাল্ডো। পর্তুগালের আরেক ফুটবলারের ছেলের সঙ্গে ফুটবল নিয়ে ছোটাছুটি করছিল সে। মিনিট কয়েক বাদে সিনিয়র রোনাল্ডোও আসরে নেমে পড়লেন। জুনিয়র ততক্ষণে একের পর এক জোরালো শটে বল জালে জড়িয়ে যাচ্ছে। কিন্তু রোনাল্ডো অন্য কিছু একটা দেখানোর জন্য উঠে-পড়ে লাগলেন। ছেলের ফুটবল স্কিল নিয়ে তিনি কতটা গর্বিত তা ধরা পড়ল কিছুক্ষণের মধ্যে। বাবার তোলা ক্রস থেকে বাবার মতোই বাইসাইকেল কিকে গোল করল জুনিয়র রোনাল্ডো। গ্যালারিজুড়ে তখন হাততালি। আর গ্যালারির সীমা ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ল জুনিয়র রোনাল্ডোর ফুটবল স্কিলের মুগ্ধতা। বাপ কা বেটা! উপমাটা অক্ষরে অক্ষরে মিলিয়ে দিল জুনিয়র রোনাল্ডো।