সেই পুরনো রোগে আক্রান্ত ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো!
সারা ম্যাচে রোনাল্ডো আর গোল পেলেন না।
নিজস্ব প্রতিবেদন- মেসি বনাম রোনাল্ডো। বিশ্ব ফুটবল এই দুই ভাগে বিভক্ত। তাই একদল আরেকদলের সামান্যতম খুঁত খুঁজে পেলেও সেটা প্রচার করতে ছাড়ে না। এই যেমন মেসি ভক্তরা বলছেন, রোনাল্ডো সেই পুরনো রোগে আক্রান্ত! একটা সময় মজা করে মেসি ভক্তরা রোনাল্ডোকে বলতেন, পেনাল্ডো। শুক্রবার রাতে জুভেন্টাস বনাম এসি মিলান-এর ম্যাচের পর রোনাল্ডোর সেই পুরনো নাম আবার যেন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে ফিরে এলো। তিন মাস পর ইতালিতে ফুটবল ফিরেছে। তিন মাস পর মাঠে নেমে ফুটবলারদের কিছুটা জড়তা অবশ্যই ছিল। কিন্তু তিনি তো মহাতারকা। তাঁর মধ্যে তো কোনওরকম জড়তা থাকার কথা নয়। তিন মাস পর মাঠে নেমেই রোনাল্ডো পেনাল্টি মিস করলেন।
ম্যাচের ১৬ মিনিটের মাথায় রোনাল্ডোর সামনে গোল করার সুযোগ এসেছিল। কিন্তু তিনি পেনাল্টি থেকে গোল করার সুযোগ হাতছাড়া করলেন। বল গিয়ে লাগল ডানদিকের পোস্টে। হতাশায় মুখ লুকোলেন রোনাল্ডো। সারা ম্যাচে রোনাল্ডো আর গোল পেলেন না। তবে তাতে সমস্যা হল না জুভেন্টাসের। তিন মাস পর মাঠে নেমেই ফাইনালের স্বাদ পেল জুভেন্টাস। ঘরের মাঠে খেলতে নেমে ফিরতি লেগে অবশ্য এসি মিলানকে হারাতে পারল না জুভেন্টাস। কোপা ইতালিয়ার সেমিফাইনালে মিলানের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেই ফাইনালে চলে গেল রোনাল্ডোর দল। একে তো দর্শকহীন স্টেডিয়াম। তার ওপর ম্যাড়ম্যাড়ে ম্যাচ। তার থেকেও খারাপ দিক রোনাল্ডোর পেনাল্টি মিস। ভাগ্যিস জুভেন্তাস প্রথম লেগে ১-১ গোলে ড্র করে রেখেছিল। দর্শক শূন্য মাঠে খেলতে নেমে ফুটবলাররা যেন কিছুতেই নিজেদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে পারছিলেন না। এরমধ্যে জুভের ডিফেন্ডার দানিলোকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন মিলানের অন্তে রেবিক। ১০ জনের মিলন কেউ হারাতে পারলো না জুভেন্টাস।
আরও পড়ুন- ফুটবল ফিরল স্পেনে, প্রত্যাবর্তনের লা লিগায় ডার্বি জয়ে শুরু সেভিয়ার
১৩ ফেব্রুয়ারি প্রথম লেগে ১-১ গোলে ড্র করে রেখেছিল জুভেন্টাস। তাই ফাইনালের টিকিট হাতে এল অবলীলায়। কিন্তু টিভিতে এই ম্যাচ দেখে দর্শকদের যেন মন ভরল না। করোনা পরবর্তী সময়ে ফিরে এমন সাদামাটা ম্যাচ! এই ম্যাচে রোনাল্ডোর থেকে চমকপ্রদ কিছু আশা করে বসেছিলেন দর্শকরা। কিন্তু সেরকম কিছুই হল না। রোনাল্ডো অতিমানবিক হয়ে উঠতে পারলেন না। ১৭ জুন অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ফাইনাল। সেদিন কি অতি মানবীয় কিছু করে উঠতে পারবেন রোনাল্ডো! করোনা পরবর্তী সময়ে তো রোনাল্ডো, মেসিদের অতিমানবিকতা দেখেই দুঃসময়ে লড়াই করার রসদ খুঁজছে ফুটবলপ্রেমীরা।