কেঁচো খুঁড়তে সাপ! স্বামীকে বাঁচাতে নির্ভয়া-কাণ্ডের তদন্তকারী অফিসারকে তোপ শ্রীসন্থ-পত্নীর
শ্রীসন্থের বিচার চাইতে বসে তিনি আবার উস্কে দিলেন নির্ভয়া-কাণ্ডের স্মৃতি।
নিজস্ব প্রতিনিধি : এস শ্রীসন্থকে ২০১৫ সালে সমস্ত অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি দিয়েছে আদালত। তার পরও কেন তাঁর স্বামীকে চারপাশের সমালোচনা শুনতে হচ্ছে! কেন নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার পরও শ্রীসন্থকে বিসিসিআই ক্রিকেটে ফেরার সম্মতি দিচ্ছে না। এতদিন পর্যন্ত তিনি সব কিছু চুপচাপ হজম করেছেন। শুনেছেন, তাঁর স্বামী বিভিন্ন জায়গায় নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। কিন্তু কেউ মানতে চাইছে না। শ্রীসন্থ যেখানেই গিয়ে বলছেন, "আমি বেটিংয়ে যুক্ত ছিলাম না'', সেখানেই তাঁকে ঘিরে গুঞ্জন উঠছে। তাই এবার শ্রীসন্থ-পত্নী ভুবনেশ্বরী নিজেই আসরে নামলেন। স্বামীর যুদ্ধ নিজের লড়াই মনে করে।
আরও পড়ুন- ভারতের বিরুদ্ধে অজিদের আগ্রাসী হওয়ার পরামর্শ ক্লার্কের
অজিত চাণ্ডিলা, অঙ্কিত চভন ও এস শ্রীসন্থ। এই তিনজনকে বিসিসিআই আজীবন নির্বাসনের শাস্তি দিয়েছে। এর পর নদীখাতে বয়েছে অনেক জল। আদালতের তরফে শ্রীসন্থকে ক্লি-চিট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিসিসিআই সেসব মানতে রাজি নয়। আইপিএলে স্পট-ফিক্সিং কাণ্ডের জেরে এখনও শ্রীসন্থের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলেনি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ফলে শ্রীসন্থের আর ক্রিকেটে ফেরা হয়নি। সম্প্রতি বিগ বস-এর এপিসোডে শ্রীসন্থ বলেছেন, মানসিক অবসাদ থেকে তিনি এক-দুবার আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার কথাও ভেবেছেন। ফিক্সিং-কাণ্ড তাঁর জীবনে কতটা প্রভাব ফেলেছিল তা বারবার জাহির করছিলেন শ্রীসন্থ। আর এবার একই কথা বলতে আসরে নামলেন তাঁর স্ত্রী। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে একটি খোলা চিঠি লিখলেন ভুবনেশ্বরী। বোর্ডের কাছে তিনি বিচার চেয়ে যা লিখেছেন তার সারমর্ম তুলে ধরা হল নিচে। শ্রীসন্থের বিচার চাইতে বসে তিনি আবার উস্কে দিলেন নির্ভয়া-কাণ্ডের স্মৃতি। দিল্লির নির্ভয়ার মর্মান্তিক গণধর্ষণের প্রসঙ্গ তুলে তিনি তদন্তকারী অফিসারকে বিঁধলেন। ভুবনেশ্বরী লিখলেন-
আরও পড়ুন- অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিততে মরিয়া ইশান্তরা
''শ্রীসন্থের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ও বুকিদের থেকে ১০ লক্ষ টাকা নিয়েছিল। যার পরিবর্তে ওকে একটি নির্দিষ্ট ওভারে ১৪ রান বা তার বেশি দিতে হত। মোহালিতে সেই ম্যাচে শ্রীসন্থ বুকিদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেছিল রুমালের মাধ্যমে। যে রুমাল ওর কোমরে গোঁজা ছিল। দিল্লি পুলিশ এমনই রিপোর্ট দিয়েছিল। কিন্তু আদতে পুরোটাই মিথ্যে। সেদিন সেই ওভারে শ্রীসন্থ কিন্তু ১৪ রান দেয়নি। দিয়েছিল ১৩ রান। তাও উল্টোদিকে ব্যাটিং করছিল অ্যাডাম গিলক্রিস্টের মতো ব্যাটসম্যান। ধারাভাষ্যকাররা সেদিন শ্রীসন্থের প্রতিটা ডেলিভারির প্রংশসা করেছিল। আর সেদিন মোহাতি তাপমাত্রা ছিল ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। বাকি সবার মতো তাই শ্রীও ঘাম মোছার জন্য রুমাল রেখেছিল। এসবই দিল্লির সেই পুলিশ অফিসারের সাজানো ঘটনা। আসলে তিনি সেই সময় নির্ভয়া-কাণ্ড নিয়ে চাপে ছিলেন। চাপের মুখে পদত্যাগ করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তাঁর। তাই সবার নজর ঘোরাতে সেই অফিসার শ্রীসন্থকে বলির পাঁঠা বানিয়ে দিল।...''