নিজস্ব প্রতিবেদন- বেগুনের রেসিপি দিচ্ছেন সচিন তেণ্ডুলকর। শুনতে অবাক লাগছে তো? কিন্তু মাস্টার ব্লাস্টার সত্যিই এমনটা করছেন। ক্রিকেট ছেড়েছেন। হাতে তাই এখন অনেকটা সময় রয়েছে সচিনের। সেই সময়ের বেশিরভাগটাই তুলে রেখেছেন পরিবারের জন্য। আন্তর্জাতিক নারী দিবসও সচিন তাই কাটালেন পরিবারের মাঝে। তবে এমন দিনে তাঁর সাফল্যের পিছনে থাকা নারীদের কুর্ণিশ জানাতে ভুললেন না। মা, স্ত্রী ও মেয়ের কথা বললেন বারবার। সেখানেই থেমে গেলেন না। বছরের এই একটা দিন অন্তত জীবনের গুরুত্বপূর্ণ নারীদের জন্য কিছু একটা স্পেশাল করতে চাইলেন সচিন। তার জন্য রাঁধুনি হয়ে উঠলেন তিনি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  আর্মি ক্যাপ পরে রাঁচিতে নামল কোহলির ভারত, অভিনব উদ্যোগে সমালোচকদের মোক্ষম জবাব ধোনির



ছোট থেকেই মায়ের হাতের বেগুনের ভর্তা খেতে খুব ভালবাসেন সচিন। অপূর্ব ছিল মায়ের হাতের এই বিশেষ রান্নার স্বাদ। যা সচিন এখনও ভুলতে পারেননি। নিজেই বলছিলেন সেসব পুরনো কথা। আর এমন বিশেষ দিনে মায়ের জন্য তাই বেগুনের ভর্তা করবেন বলেই ঠিক করে রেখেছিলেন। কন্যা সারা ছিলেন না। তবে নিজে হাতে রান্না করে মা ও স্ত্রী অঞ্জলিকে খাওয়ালেন সচিন। মিনিট দুয়েকের ভিডিও। তাতেই সচিন বুঝিয়ে দিলেন, গোটা দেশের কাছে কেন তিনি আইকন! মায়ের জন্য রান্না করলেন। ছেলের হাতের রান্না খেয়ে মা আপ্লুত। 


সচিন অবশ্য বললেন, রান্নার স্বাদ ভাল না হলেও মা কখনও মুখে বলবে না। মায়েরা এমনই হয়। মায়ের হাতের রান্নার স্বাদের কোনও তুলনা হয় না। সেই রান্নার স্বাদের সঙ্গে আমার করা রান্নার তুলনাই চলে না। মা আমার জন্য বেগুনের ভর্তা বানাতে অনেকটা সময় রান্নাঘরে কাটাত। এই বেগুনের ভর্তা অঞ্জলি ও সারার জন্যও। তবে আমি চাই সবার আগে এটা মা চেখে দেখুক। এর পরই মায়ের কাছে নিজের রান্না নিয়ে হাজির হন তিনি। মায়ের হাতে সেই রান্না দিয়ে বলেন, ''আমি বেগুনের ভর্তা বানিয়েছি, খেয়ে দেখো তোমার ভাল লাগবে কিনা! তুমি যেমন আমার জন্য বানাতে ছোটবেলায়! খেয়ে দেখো তো মশলা বেশি হয়েছে কিনা!'' ছেলের হাতের বেগনের ভর্তা খেয়ে সচিনের মা বলে ওঠেন, ''বাহ্, বেশ মুখরোচক হয়েছে। একেবারেই মশলা বেশি হয়নি। ঠিকঠাক হয়েছে।''