ওয়েব ডেস্ক: ২০১৩ সালের ১৪ নভেম্বর। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম সেদিন কানায় কানায় ভর্তি। উপচে পড়া ভিড়। গোটা দুনিয়া এক এবং একমাত্র ক্রিকেট ঈশ্বরের দিকে তাকিয়ে। নিজের 'ক্রিকেট জীবন'-এর সলীল সমাধি দিতে নামছেন নিজেই। দুশকের ক্রিকেট জীবন, হঠাৎ... শেষ। ২০০তম টেস্ট খেলেই ক্রিকেটকে 'গুড বাই' বলবেন, ঠিক করেই ফেলেছিলেন, বাকি ছিল কেবল চিত্রনাট্য সম্পূর্ণ হওয়ার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে শেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে সচিন বললেন, 'গুড বাই'। তবে এই অবসরের সিদ্ধান্ত কেন দু'বছর আগে নয়, কেনই বা এই সিদ্ধান্ত আরও দু'বছর পর নিলেন না ক্রিকেট ঈশ্বর? উত্তর দিলেন স্বয়ং সচিন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


"২০১৩ সালের অক্টোবর মাস। দিল্লিতে চ্যাম্পিয়নস লিগের খেলা চলছে। আমার দিন শুরু হয়েছিল সকালের জিম সেশন দিয়েই, যেমনটা হয়ে আসছিল গোটা ২৪ বছর ধরে। তবে অক্টোবরের সেই সকালে একটা পরিবর্তন  অনুভব করলাম। এতদিন ধরে যে রুটিনটা আমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করতেম, তা পালন করতে গিয়ে আজ আমাকে জোর করতে হচ্ছে নিজেকেই। আমি জানতাম আমার ক্রিকেট জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ, জিম-যেটা আমি ২৪ বছর ধরে করে আসছি। হঠাৎ কেন এই অনীহা। কারণ খুঁজতে শুরু করলাম। তাহলে এখানেই থামা উচিত আমার? এটাই কি সেই লক্ষণ? যেটা আমার এত প্রিয় ছিল এতগুলো দিন ধরে, আজ সেটা করতেই আমার আর ভাল লাগছে না!", নিজের ক্রিকেট জীবনের স্মৃতি রোমন্থন করে অবসর নিয়ে এই কথাগুলোই একের পর এক অনরগল বলে গেলেন সচিন। 


"তুমিই জানো তুমি কখন খেলা ছাড়বে। এটা তোমার মনের ভিতর থেকেই বেড়িয়ে আসবে। তুমি কবে ক্রিকেট থেকে অবসর নেবে, গোটা দুনিয়াকে ঠিক করতে দিও না এটা", নিজের অবসরের সিদ্ধান্তে বিলি কিংয়ের এই কথাও স্মরণ করেন তিনি।  


ক্রিকেট জীবনে প্রথম বিশ্বকাপ জয়, স্বপ্নকে ছোঁয়া হয়েছে সেদিনই, নিজেই সেকথা জানিয়েছেন ক্রিকেট ঈশ্বর। সচিন এও বলেন, "আমার ক্রিকেট জীবনের প্রথম ইনিংস ছিল একেবারেই আমার স্বপ্নকে ধাওয়া করা, আর দ্বিতীয় ইনিংস ছিল পরিতৃপ্তি।"