নিজস্ব প্রতিবেদন: আক্ষেপ নিয়ে আলবিদা বলতে হল! বেদনার মরুঝড়ে হয়ত জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কাতরাতে হবে পাকিস্তানের স্পিনের জাদুকরকে। জীবনের শেষ ম্যাচটা আন্তর্জাতিক মঞ্চে খেলা হল না! ক্রিকেট পাগল মানুষটাকে আর খেলতেই দিল না ওরা! নিয়মের বেড়াজালে ফেলে জাদু দেখানো কব্জিটাই 'কেটে' দিল আইসিসি। চাকিংয়ের অভিযোগে পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার সইদ আজমলের হাত থাকে বল কেড়ে নিয়েছিল আইসিসি। লড়াই করে ফিরেছিলেন বটে, তবে শেষ রক্ষা হল না। ৩৫ টেস্টে ১৭৮ টেস্ট উইকেট নিয়েই থামতে হল সইদ আজমলকে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাইশ গজ থেকে পাকাপাকি বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করলেন সইদ আজমল। পাকিস্তানের ঘরোয়া লিগে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেই ক্রিকেটের জার্সি তুলে রাখবেন এই পাক বোলার। বিদায় বেলায় আজমল বলে গেলেন, "আমার বয়স এখন ৪০। নতুন প্রজন্মের জন্য জায়গা ছেড়ে দিতেই হবে আমাকে। ঘরোয়া ক্রিকেটেও নিজেকে বোঝা মনে হয় এখন। তাই সম্মান থাকতে থাকতেই সরে যাওয়া ভাল।" 


আরও পড়ুন- আইপিএল-এ ৮ টা'র ম্যাচ এগিয়ে আনার কথা ভাবছে বিসিসিআই


তাঁর সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে, সেকথাও সবার স্মরণে দিতে ভোলেননি আজমল। আইসিসি-র প্রতি ক্ষোভ উগরে আজমল বলেন,"বুকে যন্ত্রণা নিয়েই আজ বিদায় জানাতে হচ্ছে। আইসিসি ক্ষেত্র বিশেষে বেশ রূঢ়। এখনও যদি আন্তর্জাতিক বোলারদের পরীক্ষা করা হয় ৯০ শতাংশ ক্রিকেটারই প্রোটোকল পাশ করতে পারবে না বলে আমার বিশ্বাস।" আজমল এমনও মনে করেন, পাকিস্তান বোর্ড যদি আইসিসির সঙ্গে আরও জোড়াল কণ্ঠে লড়াই করত, তাহলে তিনি হয়ত এতটা দুঃখ নিয়ে ক্রিকেট ছাড়তেন না। পাক বোলারের মতে, তাঁকে ব্যান করার পর থেকে দেশের ক্রিকেট বোর্ড তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে ঠিকই। তাঁর ঘটনাটাকে সামনে রেখে আইসিসির প্রোটোকলের বিরুদ্ধে লড়াই করা উচিত ছিল বলে মনে করেন সইদ আজমল। 


পাকিস্তানের স্পিন বোলার আজমলের বোলিং আক্যাশন নিয়ে ২০০৯ সালে প্রথম আপত্তি জানিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কাও একই অভিযোগ আনে। বাধ্য হয়েই বোলিং অ্যাকশন পরিবর্তন করতে হয় তাঁকে। 'অ্যাকশন বদলে ২০১৫ সালে ক্রিকেটে 'ওয়াপসি'ও হয় তাঁর। কিন্তু সাফল্য আসেনি। এরপরই ২২ গজ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আজমল। যদিও পরবর্তী ক্ষেত্রে কোচিং করানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এই পাক বোলার। 


আরও পড়ুন- 'মারিয়া, উইল ইউ ম্যারি মি'? টেনিস কোর্টেই শারাপোভাকে প্রোপোজ করলেন ভক্ত!


উল্লেখ্য, বোলিং অ্যাকশন নিয়ে বিতর্ক কেবল আজমলকে নিয়েই হয়েছে, তা নয়। একই অভিযোগ রয়েছে পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক হাফিজের বিরুদ্ধেও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁকে ব্যানেরও সিদ্ধান্ত জানিয়েছে আইসিসি। পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার শোয়েব আখতারও এই বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। বোলিং অ্যাকশন বিতর্কে পড়তে হয়েছে লঙ্কার কিংবদন্তি মুথাইয়া মুরলিধরনকেও।