নিজস্ব প্রতিনিধি : শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি ক্রিকেটার জয়সূর্যর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠল। নাগপুরে কয়েক কোটি টাকার পচা সুপারি ধরা পড়েছে। রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স-এ তরফে জানানো হয়েছে, ইন্দোনেশিয়া থেকে শ্রীলঙ্কা হয়ে সেই পচা সুপারি ভারতে ঢোকে। বেশি কিছুদিন ধরেই এমন বেআইনি ব্যবসার রমরমা চলছে দেশজুড়ে। আর এই পঁচা সুপারির চোরাচালানের পাণ্ডা সনথ জয়সূর্য। শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি ক্রিকেটারের সঙ্গে আরও দুজন ক্রিকেটার নাকি এইব চোরাচালানে যুক্ত। তবে তাঁদের নাম এখনই প্রকাশ করা হয়নি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  বোর্ডের কথা মানলেনই না, নিজের সিদ্ধান্তে শামি বল করলেন ২৬ ওভার!


নাগপুরে এমন কুকাজ করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন বেশ কয়েকজন। তাঁরাই জেরার মুখে জয়সূর্যর নাম করেছেন। তার পরই ইন্টেজিলেন্স টিম-এর পক্ষ থেকে জয়সূর্যকে মুম্বইতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, জয়সূর্য যে এই পাচারের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত তার জোড়ালো প্রমাণও নাকি তদন্তকারীদের হাতে রয়েছে। তদন্তকারী দফতরের পক্ষ থেকে শ্রীলঙ্কার সরকারের কাছে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। সেখানে জয়সূর্য ও অন্য দুই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে তদন্তের সময় সরকারের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। ২ ডিসেম্বর জয়সূর্য ও অন্য দুই ক্রিকেটারকে ডেকে পাঠানো হবে বলে খবর।


আরও পড়ুন-  GST-র জন্যই অজিদের কাছে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হেরেছে ভারত!


রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স-এর ডেপুটি ডিরেক্টর দিলীপ সিভারে জানিয়েছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য শ্রীলঙ্কা থেকে বেআইনি পথে বিপুল পরিমাণ পচা সুপারি ভারতে আনা হত। তার পর সেই পঁচা সুপারি দেশের বিভিন্ন কোম্পানির কাছে কম দামে বিক্রি করা হত। জয়সূর্য ও অন্য দুই ক্রিকেটার নিজেদের সামাজিক প্রতিপত্তি কাজে লাগিয়ে ট্রেড ও এক্সপোর্ট লাইসেন্স বের করে নিতেন। তার পর শ্রীলঙ্কায় ভুয়া কোম্পানির নামে সেগুলো পাচার করতেন ভারতে। ইন্দোনেশিয়া থেকে সরাসরি সুপারি আমদানি করতে হলে কর দিতে হয় বেশি। সেক্ষেত্রে প্রতিবেশি দেশ শ্রীলঙ্কা থেকে ভারতে মাল আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কের পরিমাণ কম। তাই পাচারকারীরা ভুয়া শ্রীলঙ্কান কোম্পানির নামে বেআইনি কাজ চালাত। নাগপুরে একাধিক ব্যবসায়ী সেই পচা সুপারি কিনে বাজারে বিক্রি করতেন। এতে মুনাফার অঙ্কটাও অনেক। জানা গিয়েছে, ২৫ কোটি টাকার পঁচা সুপারি বাজারে বিকোত ১০০ কোটি টাকায়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে সেই পচা সুপারি।