Sanju Samson | WI vs IND: `ভারতীয় ক্রিকেটার হওয়াই...`! মাঠেই অব্যক্ত বেদনার বিবৃতি সঞ্জুর
Sanju Samson Sums Up His Team India Career: সেই ২০১৫ থেকে ভারতীয় দলে রয়েছেন সঞ্জু। কিন্তু তিনি নিয়মিত নন, এমনকী তাঁর ব্যাট করার পাকাপাকি জায়গাও নেই। এবার সঞ্জু কথা বললেন ক্রিকেট কেরিয়ারের চ্যালেঞ্জ নিয়ে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২০১৫ সালে তাঁর দেশের জার্সিতে ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম ফরম্যাটে অভিষেক হয়েছিল সঞ্জু বিশ্বনাথ স্যামসনের (Sanju Viswanath Samson)। ২৮ বছরের উইকেটকিপার-ব্যাটার ভারতীয় ক্রিকেট সার্কিটে অত্যন্ত জনপ্রিয় মুখ। আইপিএলে (IPL) রাজস্থান রয়্যালসের (Rajasthan Royals) অধিনায়ক খুব ভালো ব্যাটিংই করেন। তবে তিনি দেশের জার্সিতে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে একেবারেই নিয়মিত নন, সুযোগ পাওয় এবং বাদ পড়া তাঁর সঙ্গে জুড়েই রয়েছে। সঞ্জু বাদ পড়লেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আগুন জ্বলে যায়। ক্ষিপ্ত হয়ে যান তাঁর ফ্যানরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে সঞ্জু ঝকঝকে হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন। আর এরপরেই অব্যক্ত বেদনার বিবৃতি দিলেন তিনি।
ইনিংস ব্রেকে সম্প্রচারকারী চ্যানেলে সঞ্জু কথা বললেন তাঁর ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা ও তাঁর চ্যালেঞ্জ নিয়ে। সঞ্জুর কোনও পাকাপাকি জায়গা নেই ব্যাট করার। বলা চলে তিনি ফ্লোটার। সঞ্জু বলেন, 'দেখুন ভারতীয় ক্রিকেটার হওয়াই চ্যালেঞ্জের। আমি বিগত ৮-৯ বছর ধরে, ঘরোয়া ক্রিকেটের পাশাপাশি ভারতের হয়ে খেলছি। যে কোনও জায়গায় ব্যাট করেছি। বিভিন্ন জায়গায় ব্যাট করে একটা বোঝাপড়া হয়ে যায়। কতগুলি ওভার হাতে পাচ্ছি, সেভাবে প্রস্তুতি নিই। কোথায় ব্যাট করতে নামছি, সেটা বিষয় নয়। মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে নেমে, কিছুটা সময় ক্রিজে থাকতে পারলে বেশ ভালোলাগে। কিছু রান করে যদি দেশের জন্য অবদান রাখতে পারি, তাহলে তা মধুর। বিভিন্ন প্লেয়ারদের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনাই থাকে আমাদের। আমি চেষ্টা করি পায়ের ব্য়বহার করে বোলারদের লেন্থ বুঝে খেলার।'
এবার আসা যাক ম্যাচের কথায়। তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচেও বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মাকে বিশ্রাম দিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। টিম ম্যানেজমেন্ট ভরসা করেছিল তরুণ বিগ্রেডের উপরেই। ব্রায়ান লারার নামাঙ্কিত স্টেডিয়ামে টস হেরে ভারত ব্যাট করতে নেমেছিল। ওপেন করতে নেমেছিলেন ঈশান কিশান ও শুভমন গিল। দুই প্রিয় বন্ধু একেবারে টি-২০ মেজাজে ব্যাটিং শুরু করেছিলেন। ২০ ওভারের মধ্য়ে ১৪৩ রান তুলে ফেলেন তাঁরা। ৬৪ বলে ৭৭ রান করে ফেরেন ঈশান। তিনে ব্যাট করতে নেমে রুতুরাজ গায়কোয়াড় ফিরে যান মাত্র আট রানে।
শুভমনের হাত শক্ত করতে আসেন সঞ্জু স্যামসন। সঞ্জু ৪১ বলে ৫১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে আউট হন। ২টি চার ও ৪টি ছয় হাঁকান তিনি। এরপর শুভমন ফেরেন ৯২ বলে ঝকঝকে ৮৫ রানের ইনিংস খেলে। এরপর পাঁচে নেমে হার্দিক দাপট দেখাতে শুরু করেন। ৫২ বলে বিধ্বংসী ৭০ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। প্রথম দুই ম্যাচে ব্যর্থ হওয়া সূর্যকুমার এই ম্যাচে ৩০ বলে ৩৫ রান করেন। ব্যাটারদের দাপটে ভারত নির্ধারিত ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৩৫১ রান তোলে। অতি বড় ক্রিকেট ফ্যানও জানতেন যে ম্যাচের ফল কী হতে চলেছে! যা হওয়ার ঠিক তাই হয়। উইন্ডিজ দল রান তাড়া করতে নেমে ১৫১ রানে গুটিয়ে যায়। মুকেশ কুমার তিন উইকেট নেন। শার্দূল ঠাকুর তুলে নেন চার উইকেট। কুলদীপ যাদব দু'টি ও জয়দেব উনাদকাট নেন এক উইকেট।
এই ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামেই ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজের শুভারম্ভ। ৩ আগস্ট প্রথম কুড়ি ওভারের যুদ্ধ। ৬ আগস্ট দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচ গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে। তৃতীয় টি-২০ ৮ আগস্ট এই মাঠেই। চতুর্থ (১২ আগস্ট) ও পঞ্চম টি-২০ ম্যাচ (১৩ আগস্ট) দু'টি হবে মার্কিন মুলুকে। ফ্লোরিডার লডারহিলে অবস্থিত সেন্ট্রাল ব্রোওয়ার্ড রিজিওনাল পার্ক স্টেডিয়াম টার্ফ গ্রাউন্ডে।