ওয়েব ডেস্ক : সালটা ২০০৪। সৌরভ গাঙ্গুলি তখন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক। ইন্ডিয়া টিমের হয়ে প্রথমবার মাঠে নামেন রাঁচির মহেন্দ্র সিং ধোনি। তার একবছরের মধ্যেই নিজের জাত চিনিয়ে দেন ধোনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৪৮, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৮৩। প্রমাণ করেন তাঁর উপর আস্থা রেখে ভুল করেননি ক্যাপ্টেন গাঙ্গুলি। ধীরে ধীরে ইন্ডিয়া টিমের স্তম্ভ হয়ে ওঠেন ধোনি। এরপর ভারতীয় দলের অধিনায়কত্ব, 'ক্যাপ্টেন কুলে'র শিরোপা পাওয়া, বিশ্বকাপ জয়- ভারতীয় দলের হয়ে ধোনির কেরিয়ারগ্রাফ ছিল সবসময়ই ঊর্ধ্বগামী। তবে ভারতবাসী তথা বিশ্ব ক্রিকেট এই ক্রিকেটার ধোনিকে পেত না, যদি না সৌরভ গাঙ্গুলির আত্মত্যাগ থাকত। এমনটাই মনে করেন বীরেন্দ্র সেওয়াগ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, ১২১ কোটি টাকার নতুন যুবভারতী, কী কী থাকছে জেনে নিন


এক সাক্ষাত্কারে সেওয়াগ বলেন, "সৌরভের আত্মত্যাগই ধোনিকে আজকে এই উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। তাঁকে আজকের এই মানের ক্রিকেটার বানানোর পিছনে রয়েছে সৌরভের অবদান।" সেওয়াগ জানিয়েছেন, সেই সময় ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছিল। একটা ভালো ওপেনিং জুটি পাওয়া গেলে সৌরভ তিনে নেমে আসবে, এমনই ভাবনাচিন্তা চলছিল। আবার যদি ওপেনিংয়ে ধস নামে, তখন ইরফান পাঠান বা ধোনি গিয়ে মিডল অর্ডারে রান তুলবে, বড় স্কোর খাড়া করার চেষ্টা করবে, তেমনও ভাবা হচ্ছিল। সেই সময় সৌরভ ধোনিকে তিন নম্বরে একটা সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।


সেওয়াগ বলেন, "খুব কম অধিনায়কই আছে, যে এভাবে প্রথমে নিজের ব্যাটিং পজিশন প্রথমে একবার বীরেন্দ্র সেওয়াগের জন্য ছেড়েছিলেন। তারপর তিন নম্বর পজিশনটাও ধোনির জন্য ছেড়ে দিয়েছিলেন। পর পর তিন-চারটে ম্যাচ ধোনিকে তিনে খেলানোর সিদ্ধান্ত নেয় সৌরভ।" 'দাদা' সৌরভ সেটা না করলে, ধোনি আজ এত বড় মাপের ক্রিকেটার হতে পারতেন না বলেই মনে করেন সেওয়াগ। সৌরভ সবসময় নতুন প্লেয়ারদের সুযোগ করে দেওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।


আরও পড়ুন, চরম অব্যবস্থা, 'টয়লেটের জল' খেয়েই তৃষ্ণা মেটাল ‌যুব বিশ্বকাপ দেখতে আসা বাচ্চারা