জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: টি-২০ বিশ্বকাপে (T20 World Cup 2022) পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস মহাযুদ্ধ জিতেছে ভারত (India vs Pakistan)। গত রবিবার মেলবোর্ন দেখেছে সুপার সানডে। 'মাদার অফ অল ব্যাটল'-এর শেষ ওভার ছিল যেন কোনও সাসপেন্স থ্রিলার। রোমহর্ষক এই ম্যাচ চার উইকেটে ছিনিয়ে নেয় ভারত! রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) বনাম বাবর আজমদের (Babar Azam) হেভিওয়েট ডুয়েল নিঃসন্দেহে ছিল ঘটনাবহুল। হাইভোল্টেজ ম্যাচে একাধিক ঘটনা ঘটেছে ঠিকই। তবে একটি ঘটনার রেশ ম্যাচ শেষের পরেও রয়ে গিয়েছে। তা শেষ ওভারে নো-বল ওরফে ডেড-বল বিতর্ক (No-ball Controversy)। যা নিয়ে তোলপাড় বাইশ গজ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জেনে নেওয়া যাক ঠিক কী নিয়ে বিতর্ক


শেষ ওভারে ভারতের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। বাঁ-হাতি স্পিনার মহম্মদ নওয়াজকে বল দিয়ে ম্যাচ বার করতে চেয়েছিল পাকিস্তান। নাওয়াজের প্রথম বলেই হার্দিক পাণ্ডিয়া আউট হয়ে যান। এরপরের বলে দীনেশ কার্তিক সিঙ্গল রান নেন। তৃতীয় বলে বিরাট কোহলি স্ট্রাইকে এসে দু'রান চুরি করে নেন। স্বভাবতই চতুর্থ বলে বিরাটই থাকেন স্ট্রাইকে। নওয়াজের হাত থেকে উড়ে আসে একটি হাই ফুল টস বল। কোহলি হুক করে বল ডিপ স্কোয়ার লেগের ওপর দিয়ে ওভার বাউন্ডারিতে চালান করে দেন। সঙ্গে সঙ্গে কোহলি নো বলের দাবি জানান, কোমরের ওপর বল উঠেছিল বলেই অভিযোগ করেন কোহলি। অন-ফিল্ড আম্পায়ার মারায়াস এরাসমাস দেরি করে হলেও ভারতের পক্ষেই রায় দেন। মেনে নেন কোহলির দাবি। বাবর আজমরা প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন। ১৩ বলে ৩ রান থেকে ভারতের জেতার জন্য ৩ বলে ৬ টার্গেট হয়ে যায়। বাইতে ভারত তিন রান তুলে নেয়। এরপর পঞ্চম বলে কার্তিক স্টাম্পআউট হন। তারপর ষষ্ঠ বল ওয়াইড হয়। ওয়াইডের পরের বলটি অশ্বিন ফেস করেন। লেগসাইডে স্লাইড করে ভারতকে জিতিয়ে দেন তিনি।


আরও পড়ুন: Virat Kohli | Hardik Pandya | IND vs PAK: 'আমি তোমার জন্য বুকে বুলেট নিতে তৈরি ছিলাম'!



পাকিস্তানের প্রাক্তন কিংবদন্তি বোলাররা এই নো-বল ইস্যুতে শুরু করে দেন বিদ্রোহ। নো বল ছিল না বলেই মত দেন ওয়াসিম আক্রম, ওয়াকার ইউনিস এবং শোয়েব আখতারের মতো স্পিডস্টাররা। তাঁর প্রশ্ন তোলেন কেন রিভিউ নেওয়া হল না! আক্রম বলেন, 'খালি চোখে দেখে নো বল মনে হয়নি। কোহলির দোষ নয়। ওর জায়গায় যে কোনও ব্যাটার থাকলেই নো-বলের দাবি জানাত। এত বড় ম্যাচে কেন প্রযুক্তির ব্যবহার করা হল না!' ওয়াকার বলেন, 'নো বল কি নো বল না, সেই বিতর্কে আমি যেতে চাই না। স্কোয়ার লেগের ওপর দিয়ে যখন বলটি উড়ে যায়, তখন এরাসমাসের উচিত ছিল লেগ আম্পায়ারের সঙ্গে আলোচনা করা। তাঁরা দু'জন মিলে বিষয়টি তৃতীয় আম্পায়ারের ওপর ছেড়ে দিতে পারতেন। তাঁরা সিদ্ধান্ত নিতেন এই ইস্যুতে।' আখতার আবার ট্যুইট করে জানিয়েছেন যে, আম্পায়ারের ভাবার সময় এসেছে।


পড়ুন, বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা


নো বল বিতর্কে ইতি টানতে মাঠে নামলেন সাইমন টফেল। যাঁর আলাদা করে পরিচয় দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বকালের সেরা আম্পায়ারদেরই একজন তিনি। যাঁর বায়োডেটায় আছে টানা পাঁচবার (২০০৪-২০০৮) বর্ষসেরা আম্পায়ার হওয়ার রেকর্ড। টফেল এক বিবৃতি দিয়ে বলেন, 'আম্পায়ার সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাইয়ের সিগন্যাল দিয়ে। বল স্টাম্পে হিট করার যখন থার্ড ম্যানের দিকে চলে যায় তখন ব্যাটাররা তিন রান নেয়। ফ্রি হিটের ক্ষেত্রে স্ট্রাইকারকে বোল্ড করা যায় না। ফলে বলটি ডেড ছিল না। বলটি খেলার মতো জায়গায় ছিল। নিয়ম বলছে বাইয়ের সিদ্ধান্ত তৃপ্তিদায়ক।' এখন দেখার এবার আইসিসি কোনও বিবৃতি দেয় কিনা! 



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)