“চড় মারা ঠিক হয়নি, ভুল হয়েছে”, শ্রীসন্থের কাছে ক্ষমা চাইলেন হরভজন
মুম্বই ইন্ডিয়ানস বনাম কিংস ইলেভেন ম্যাচ শেষে শ্রীসন্থকে চড় মেরে গরমাগরম শিরোনাম তৈরি করেছিলেন হরভজন। এক দশক পর সেই ঘটনায় লজ্জিত হতে দেখা গেল তাঁকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ঘটনাটা ঠিক আজ থেকে বছর ১১ আগের। দুই ক্রিকেটারের বাদানুবাদ, তারপর একজন আরেক জনকে থাপ্পর মারেন। যিনি থাপ্পর মেরেছিলেন তিনি বিশ্ব ক্রিকেটে টারবনেটর নাম খ্যাত। আর অন্যজন আইপিএল-এ স্পট ফিক্সিংয়ে অভিযুক্ত হয়ে কেরিয়ারটাই শেষ করে ফেলেছেন। ঘটনাচক্রে হরভজন সিং এবং শ্রীসন্থ ২ জনই বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও আইসিসি ওডিআই বিশ্বকাপ, ২ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলেই ছিলেন এই ২ ক্রিকেটার। তাঁরা দুজনেই ধোনির নেতৃত্বে খেলেছেন। হরভজন চেন্নাইতে ধোনির নেতৃত্বে এখনও আইপিএল খেলছেন। গতবার চ্যাম্পিয়নও হয়েছেন তারা। অন্যদিকে, ক্রিকেট থেকে শত যোজন দূরে চলে গিয়েছেন শ্রীসন্থ।
আরও পড়ুন- ছদ্মবেশে বাজারে ঘুরলেন বুমরা, কেউ চিনতেই পারলেন না
এই দুই তারকা শেষ কবে মুখোমুখি হয়েছেন, তা তাঁরা নিজেরাও মনে করে বলতে পারবেন বলে মনে হয় না। তবে একটি বিষয় তাদের কাছে চিরকালীন, যা কোনও দিনই ভোলার নয়। সম্প্রতি বিগ বস-এ শ্রীসন্থ জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া সেই বিতর্কিত ঘটনার কথা। হরভজন তাঁকে চড় মারেননি, সজোরে ঘুষি মেরেছেন। চাইলে তিনিও পাল্টা হাত চালাতে পারতেন, এমনই মন্তব্য করেছিলেন শ্রীসন্থ। এবার সেই ঘটনায় নিজের মত ব্যক্ত করলেন হরভজন সিং।
আরও পড়ুন- ছক্কা নয়, যেন গোল বাঁচালেন! ফের অবিশ্বাস্য ফিল্ডিং ম্য়াকুলামের
২০০৮ সাল। মুম্বই ইন্ডিয়ানস বনাম কিংস ইলেভেন ম্যাচ শেষে শ্রীসন্থকে চড় মেরে গরমাগরম শিরোনাম তৈরি করেছিলেন হরভজন। এক দশক পর সেই ঘটনায় লজ্জিত হতে দেখা গেল তাঁকে। সতীর্থের গায়ে হাত তোলো যে তাঁর ভুল, তা কার্যত স্বীকার করে নিলেন হরভজন সিং। বিহাইন্ডউডস-কে দেওয়া একটি সাক্ষাত্কারে হরভজন সিং নিজের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়ে বলেন, “আমার আর শ্রীসন্থের মধ্যে যা হয়েছিল, সেটা মাঠে হয়েছিল। অনেকেই সে ঘটনা নিয়ে এখনও অনেক কথা বলেন। আমার জীবনের অতীতে ফিরে গিয়ে যদি কোনও কিছু সংশোধন করতে হয় তাহলে অবশ্যই আমি এই বিষয়টি সংশোধন করব। আমার শ্রীসন্থকে চড় মারা উচিত হয়নি। সেটা আমার ভুল হয়েছে এবং আমি তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। লোকে যাই বলুক, আমি এখনও শ্রীসন্থের দাদার মতো। ওর স্ত্রী, সন্তানদের প্রতি আমার শুভকামনা সবসময় থাকবে।”