চুনী গোস্বামীর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল, স্মৃতিচারণে বাম—ডান সব পক্ষ
৮২ বছর বয়সে প্রয়াত হন চুনী।
নিজস্ব প্রতিবেদন— শুধুমাত্র খেলার মাঠে নয়, চুনী গোস্বামীর ব্যপ্ত ছিল রাজনীতির আকাশেও। তাই তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল। ফুটবল থেকে শুরু করে ক্রিকেট, টেনিস, খেলার জগতে চুনী গোস্বামীর ছিল অবাধ আনাগোনা। ৮২ বছর বয়সে প্রয়াত হন চুনী। আর তার পরই সমাজের বিভিন্ন মহল থেকে শোকবার্তা আসতে থাকে। ফুটবল মহল তো বটেই, রাজনীতির একের পর এক ব্যক্তিত্বও চুনী গোস্বামীর প্রয়াণে শোকবার্তা দেন। সোমেন মিত্র থেকে শুরু করে অধীর চৌধুরি, দিলীপ ঘোষ, সীতারাম ইয়েচুরি, শোকজ্ঞাপন করলেন বাম—ডান সব পক্ষের নেতারাই।
ভারতীয় ক্রীড়া জগতের ইন্দ্র পতন! আমি সৌভাগ্যবান, দর্শক হিসেবে আমি চুনী গোস্বামীর খেলা দেখেছি। তাঁর ক্রীড়া শৈলী ভারতীয় ফুটবলে এক অবিস্মরণীয় ইতিহাস। চুনীদার সঙ্গে খেলার মাঠ থেকে শুরু হওয়া আমার পরিচয় পরবর্তী কালে ব্যক্তিগত স্তরে চলে গিয়েছিলো। তাঁর মৃত্যুতে ভারতীয় ফুটবলের এক অপুরণীয় ক্ষতি হলো। চুনী গোস্বামীর বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করি এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি জানাই আন্তরিক সমবেদনা। বললেন সোমেন মিত্র।
অধীর চৌধুরি লিখলেন, চুনীদার সঙ্গে জার্মানির ফ্র্যাঙ্কফুর্ট থেকে বার্লিন পর্যন্ত একসঙ্গে ট্রেনে চড়ে গিয়েছি। ট্রেনের মধ্যে দেখা হয়েছিল। ফুটবল ওয়ার্ল্ড কাপ ফাইনাল একসাথে দেখেছিলাম। চুনীদা লন্ডন গেল, সেখানেও এক হোটেলে ছিলাম।
এত সহজ সরল প্রাণবন্ত মানুষটা নেই, ভাবতেই বুক ভারী হয়ে যাচ্ছে।
সীতারাম ইয়েচুরি লিখলেন, দেশকে বহু মঞ্চে গর্বিত করা চুনী গোস্বামীর প্রয়াণে গভীর শোকপ্রকাশ করছি। ১৯৬২ এশিয়াড ফুটবলে দেশকে সোনা এনে দিয়েছিলেন তিনি। ওনার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।
দিলীপ ঘোষ বললেন, ভারতীয় ক্রীড়াজগতে অপূরণীয় ক্ষতি। ফুটবল থেকে শুরু করে ক্রিকেট, টেনিস, ক্রীড়াক্ষেত্রে তাঁর ব্যপ্তি ছিল বিশাল। এই দুঃসময়ে তাঁর চলে যাওয়ার খবরে মন ভারি হয়ে গেল। এমনিতেই গোটা বিশ্ব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আরও অনেক লড়াই আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। এর মধ্যে একের পর এক নক্ষত্রপতন! ওনার আত্মার চিরশান্তি কামনা করি।