সুখেন্দু সরকার


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এত বড় একখানা মঞ্চ। তাতে আলোর মতো উজ্জ্বল হয়ে বয়ে রয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তাই শুরুতে স্বপ্না বর্মন কিছুটা আড়ষ্ট হয়েই বসেছিলেন। বসেছিলেন বলতে মঞ্চের নিচের দিকে চেয়ারে। মঞ্চে তখনও ওঠেননি। উঠলেও সেই জড়তাসমেতই উঠতেন। কিন্তু আচমকাই মঞ্চ থেকে ছিটকে আসা কয়েকটা শব্দ যেন জলপাইগুড়ির মেয়েকে আত্মবিশ্বাস জুগিয়ে গেল। ''স্বপ্না বর্মন রাজ্যের রোলমডেল। ও আমাদের সম্পদ।'' কথাগুলো বেরিয়ে এল স্বয়ং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখ থেকে। এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী স্বপ্না ততক্ষণে আত্মবিশ্বাস জুগিয়ে ফেলেছেন। 


আরও পড়ুন-  নরম প্রতিপক্ষের উপর আঁচড় কাটছে ভারত


মধ্য কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে টাটা স্টিল কলকাতা ২৫ কে ম্যারাথন অনুষ্ঠানে দুই অতিথিকে ঘিরে উত্সাহ ছিল তুঙ্গে। আর এই দুই তারকাই যেন জমিয়ে দিলেন অনুষ্ঠান। পাশাপাশি দাঁড়িয়ে স্বপ্নার জন্য প্রশ্নের ডালি সাজালেন দাদা। আর সেই প্রশ্নোত্তরের পালায় অনুপ্রেরণা খুঁজে নিল সাধারণ ক্রীড়াপ্রেমী দর্শক। সেই মঞ্চে সৌরভ আর সৌরভ রইলেন না। হয়ে উঠলেন প্রশ্ন ছুঁড়তে উদ্যত সাংবাদিক। শুরুতেই স্বপ্নাকে প্রশ্ন করলেন, তোমার এমন দৌড়ের পিছনে কোন মন্ত্র কাজ করে? উত্তরে স্বপ্না বলেন, ''আমার ইভেন্ট হেপ্টাথলন। তাতে সাতটা ইভেন্টের একটা ৮০০ মিটার দৌড়। তাই দৌড়নো ছাড়া আমার আর কোনও বিকল্প নেই। সপ্তাহে তিন-চার দিন আমার কোচ ১০০০ মিটার করে দৌড় অনুশীলন করান। কষ্ট তো হয়। কিন্তু চালিয়ে যাই।''


আরও পড়ুন-  অভিষেকের ৬ বছর পর প্রথম টেস্ট শতরান পেলেন ‘স্যার’ রবীন্দ্র জাদেজা


এশিয়াডের সোনাজয়ীকে পাশে নিয়ে সৌরভ যেন অন্য মন্ত্রও দিয়ে গেলেন। বললেন, ''আপনারাও কী স্বপ্নার মতো কিছু করতে চান? স্বপ্ন দেখেন স্বপ্নার মতো আপনাদের জন্যও কখনও জাতীয় সঙ্গীত বাজুক? তা হলে আজ থেকেই দৌড় শুরু করুন।'' এত কথার মাঝে আসল কথাটাও বলে গেলেন স্বপ্না। কেন তিনি এত উদ্যমে ছুটতে পারেন! ''আসলে পরিবার ও নিজের জন্য একটা চাকরির খুব প্রয়োজন ছিল আমার। তাই চেয়েছিলাম দৌড়ে কিছু একটা করতে। সেই চেষ্টাতেই আমার প্রথম দৌড় শুরু।'' প্রসঙ্গত, ১৬ ডিসেম্বর কলকাতায় ২৫কে ম্যারাথন। বলাবাহুল্য, তাতে প্রধান মুখ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।