Mohammed Shami: মাইলস্টোনের পর বাবার অবদানের কথা বললেন আবেগি শামি
মহম্মদ শামি বলছেন যে, তাঁর বাবা না থাকলে আজ তিনি এই জায়গায় আসতে পারতেন না। ২০০ টেস্ট উইকেটের পর শামি তাঁর বাবার স্মৃতিচারণ করলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চলতি বক্সিং ডে টেস্ট জিততে পারে ভারত। সৌজন্যে মহম্মদ শামি (Mohammed Shami)। তিনি ৪৪ রান খরচ করে তুলে নেন ৫ উইকেট। শামির আগুনে স্পেলের সুবাদেই ভারতের প্রথম ইনিংসের ৩২৭ রানের জবাবে প্রোটিয়া বাহিনী গুটিয়ে যায় মাত্র ১৯৭ রানে। সেঞ্চুরিয়নে ভারতের পঞ্চম জোরে বোলার হিসেবে ২০০টি টেস্ট উইকেট নেওয়ার মাইলস্টোন স্থাপন করেছেন শামি। ৩১ বছরের শামি ৫৫তম টেস্টে এই নজির গড়লেন। দুরন্ত কীর্তির পর শামি বিসিসিআই টিভি-তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাবার স্মৃতিচারণা করলেন। তিনি বললেন আজ তিনি যে জায়গায় এসেছেন, তার পুরো কৃতিত্বই তাঁর বাবার।
শামি উত্তরপ্রদেশের আলমোরা জেলার সহেসপুর থেকে উঠে এসেছেন। যে গ্রামে তিনি থাকতেন সেখানে ক্রিকেট শেখার মতো কোনও পরিকাঠামোই ছিল না। শামির বাবা তাঁকে সাইকেলে চাপিয়ে ৩০ কিলোমিটার দূরের কোচিং ক্যাম্পে নিয়ে যেতেন রোজ। বাবা চাইতেন ছেলের যেন স্বপ্নপূরণ হয়। ২০১৭ সালে বাবাকে হারিয়েছেন শামি। ২০০ উইকেট নেওয়ার শামি তাঁর বাবার অবদানের কথা বলেন। তিনি জানান, "আমার বাবার জন্য়ই আজ আমি এই জায়গায়। আমি যে গ্রাম থেকে উঠে এসেছি সেখানে সেরকম সুযোগ সুবিধা ছিল না ক্রিকেট শেখার মতো। এমনকী আজও নেই। আমার বাবা আমাকে সাইকেলে করে ৩০ কিলোমিটার দূরের কোচিং ক্যাম্পে নিয়ে যেতেন। তাঁর সেই স্ট্রাগল আজও মনে আছে আমার। সেরকম পরিস্থিতিতে বাবার আমার জন্য যা করেছেন, তার জন্য আজীবন আমি ঋণী।" শামি বলছেন কঠোর পরিশ্রম করেই তিনি সাফল্য পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: Sourav Ganguly Covid-19 Positive: এখন কেমন আছেন সৌরভ?
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর বিশ্রাম নিয়েছিলেন শামি। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজেও তাঁকে খেলতে দেখা যায়নি। তবে ফের একবার লাল বল হাতে পেতেই বাইশ গজে আগুন ঝরালেন এই পেসার। টেস্টের দ্বিতীয় দিন একটানা বৃষ্টির জন্য ধুয়ে গিয়েছিল। এর সুযোগ যেমন দক্ষিণ আফ্রিকার জোরে বোলাররা নিয়েছিলেন, তেমনই গনগনে পেস ও দুরন্ত সুইং-এর উপর ভর করে প্রোটিয়াস ব্যাটারদের একাই বুঝে নেন শামি।