ওয়েব ডেস্ক: সমুদ্রের ঢেউগুলি আসে আর তীরে এসে তরী মিলিয়ে যায়। ঢেউ তো আর ডোবে না, ভাসেও না। ঢেউয়ের ধর্মই প্রবাহমান হয়ে থাকা। আর কিছু ঢেউয়ের আচরণ, তারা আসেই সব লন্ডভন্ড করে দিয়ে যাবে বলে। ভারতীয় ক্রিকেটে একটা নয় শত শত ঢেউ এসেছে আর তারা তিরে এসে মিলিয়েও গেছে। কিন্তু কয়েকটি ঢেউ এমন তারা লন্ডভন্ডের ইতিহাস রচনা করেছে। স্যার সচিন রমেশ তেন্ডুল্কার। ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের মালিক। এই ঢেউ সবার ওপরে, এক কথায় বললে, 'রানের সুনামি'। ক্রিকেটে সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি, যা কেউ ভাবেনি কখনও, তাই করলেন আচরেকর স্যারের ছোট্ট সচিন। আরও একটা ঢেউ আসছে। হ্যারিকেন বা টর্নেডোর মত রানের ঝড়, রানের বন্যা। আধুনিক ক্রিকেট রান মেশিন বলা হয় যাঁকে, তিনি বিরাট। তিনি নিজেও বিরাটই বটে। ক্যারিবিয়ান সমুদ্র উত্তাল করেছিল যে ঢেউ, তাঁর সঙ্গে বিরাটের তুলনা কী আর এমনি এমনি করা যায়? যায় না। ক্রিকেট লিখিয়েরা সেদিন বিরাটের বর্ণনা দিতে গিয়ে লিখেছিলেন, ভারতের ভিভ যেদিন ১২৪ ম্যাচ খেলেই ৫ হাজার রান করেছিলেন বিরাট। স্যার ভিভও তো তাই করেছিলেন। আর এই বিরাটের তুলনা এখন ক্রিকেটের সব থেকে বড় ঢেউয়ের সঙ্গেও হচ্ছে। কেন?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


পরিসংখ্যান দিয়ে দেখুন,  (শব্দ লাগে না, লাগে না কথা, যখন কথা বলে ব্যাট)-


বিরাট ও সচিন (তুলনা নয়, কারণ ঈশ্বর ঈশ্বরই হন)


৪১ টি টেস্ট ম্যাচের পরিসংখ্যানে সচিন ও বিরাট  


সচিন- টেস্ট ৪১, রান ২৯১১, সর্বোচ্চ ১৭৯, শতরান-১০, অর্ধশতরান-১৪
বিরাট- টেস্ট ৪১, রান-২৯৯৪, সর্বোচ্চ ১৬৯, শতরান-১১, অর্ধশতরান-১২


১৭১ টি আন্তর্জাতিক একদিনের ম্যাচের পরিসংখ্যানে সচিন ও বিরাট


সচিন-রান- ৫৮২৮, সর্বোচ্চ-১৩৭, শতরান-১২, অর্ধশতরান-৩৬
বিরাট-রান- ৭২১২, সর্বোচ্চ-১৮৩, শতরান-২৫, অর্ধশতরান-৩৬