নিজস্ব প্রতিবেদন- আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্ত ক্রিকেটে একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। আম্পায়াররাও মানুষ। যন্ত্র নন। তাই মাঠে অনেক সময় তাঁদের ভুল করা স্বাভাবিক। এখন আধুনিক ক্রিকেটে আম্পায়ারদের ভুলের সম্ভাবনা অনেকটাই কমেছে। যেহেতু ক্রিকেট এখন অনেক বেশি যন্ত্রনির্ভর। ক্লোজ ক্যাচ থেকে শুরু করে এলবিডব্লিউ, প্রতিটি ক্ষেত্রেই এখন ভুল করার সম্ভাবনা কম। কারণ প্রযুক্তির মাধ্যমে দেখে নেওয়া যেতে পারে আদতে ব্যাটসম্যান আউট ছিলেন কিনা! তবে কয়েক বছর আগেও ক্রিকেটে এত বেশি প্রযুক্তির ব্যবহার ছিল না। তখন সিদ্ধান্ত নিতে হলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যেত। এক্ষেত্রে অবসরের পর নিজেদের ভুল স্বীকার করেছেন কয়েকজন আম্পায়ার। কেউ কেউ আবার করেননি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আম্পায়ার হিসাবে নিজের বিচক্ষণতার জন্য জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন স্টিভ বাকনর। তিনি কিন্তু অবসরের ১১ বছর বাদে স্বীকার করে নিলেন সচিন তেন্ডুলকারকে তিনি বেশ কয়েকবার ভুল আউট দিয়েছেন। বার্বাডোজে একটি রেডিও চ্যাট শোতে অংশগ্রহণ করেছিলেন স্টিভ বাকনর। ম্যাসন এন্ড গেস্ট নামের সেই চ্যাট শোতে এসে বাকনর বলেছেন, ''আমার যতদূর মনে পড়ে শচীনকে দু'বার ভুল করে আউট দিয়েছিলাম। দেখুন যে কোনো মানুষই ভুল করে। আমরা তো যন্ত্র নই। কিছু কিছু সময় মাঠের সিদ্ধান্তে ভুল হয়ে যায়। অস্ট্রেলিয়ায় একবার শচীনকে এলবিডব্লিউ আউট দিয়েছিলাম। ওটা আমার ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। বল উইকেটের উপর দিয়ে যাচ্ছিল। আমি পরে রিভিউ দেখে বুঝতে পেরেছিলাম। সেদিন সচিন আউট ছিল না। পরে অনুতাপ হয়েছে। দ্বিতীয়বার সচিনকে ভুল আউট দিয়েছিলাম ভারতের মাটিতে। ওকে সেবার কট বিহাইন্ড আউট দিয়েছিলাম। সচিনের ব্যাচের সঙ্গে বলের স্পর্শ হয়নি। ওই ম্যাচটা ছিল ইডেন গার্ডেন্সে। বিরাট বড় মাঠ। ওখানে খেলা হলে অনেক সময় আমরা কিছু শুনতে পেতাম না। সেদিনও তাই হয়েছিল। ওত মানুষের চিৎকারে সচিনের ব্যাটে বল লাগার শব্দ ভুল করেছিলাম। ওই ভুলের জন্য আমি নিজেও খুশি ছিলাম না।''


আরও পড়ুন-  নাগিন ডান্স 'আবিষ্কার' করা বাংলাদেশের ক্রিকেটার এবার করোনায় আক্রান্ত


স্টিভ বাকনর একাধিকবার সচিনকে ভুলবশত আউট দিয়েছেন। আর তাই তাঁর প্রতি ভারতীয় সমর্থকদের ক্ষোভ ছিল। নিজের কর্মজীবনে সে কথা স্বীকার করেননি তিনি। তবে অবসর জীবনে এসে তিনি জানিয়েছেন, সচিনকে ভুল করে আউট দেওয়ার কথা। ক্যারিবিয়ান আম্পায়ার এখন থাকেন নিউইয়র্কে। অবসর জীবনেও তাংকে ঘিরে রয়েছে ক্রিকেটের নানা গল্প।